দু’জনের সম্মতিতে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। একে অপরের সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর নির্ভর করে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কে কতোটা এগোবেন।
কিন্তু বর্তমান চিত্র সেটি বলছে না। সম্প্রতি এক ডেটিং অ্যাপের করা একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে উল্টো দিকের মানুষটিরও সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে, তা অনেকেই উপেক্ষা করেন।
অর্থাৎ, সঙ্গী কতটা এগোতে চান, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না। ব্যক্তিগত পছন্দই প্রাধান্য পায়। নেটমাধ্যমে বা অন্য কোনও ভাবে যোগাযোগ হওয়া মাত্রই অনেকে উল্টো দিকের মানুষটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। বার বার ফোন করা, হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাতে থাকেন। এতে অপর দিকের মানুষটি বিরক্ত হচ্ছেন কি না, তা জানতে চাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।
৬৫ শতাংশ মানুষ সম্মতি নেওয়ার বিষয়টি ভেবেও দেখেন না। নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন অন্যর উপর। তাতে সব ক্ষেত্রে বিষয়টি ইতিবাচক হয় না। এটি আরও ঝামেলাপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন, পরিচয় হওয়া থেকে শুরু করে প্রেম প্রস্তাব দেওয়া, পুরোটাই অনলাইনে হয়। মুখোমুখি তবু পারস্পরিক বোঝাপড়ার সুযোগ থাকে, অনলাইনে তা থাকে না।
সাইবার ক্রাইম শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে সাইবার বুলিং, ব্ল্যাকমেইলিং, ব্যক্তিগত ছবি ফাঁসের মতো অপরাধ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপরাধের শিকার নারীরা।
২০২১ হালের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেমের প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় বিভিন্ন অপরাধের শিকার হওয়া নারীদের সংখ্যা প্রায় ২৮ শতাংশ বেড়ে গেছে।
তাই ওই ডেটিং অ্যাপ সংস্থা প্রেমের ক্ষেত্রে সহজাত কিছু শিক্ষা দিতে ‘লেটস্ টক কনসেন্ট’ বলে একটি কর্মসূচি চালু করেছে। ওই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হওয়া যুগলদের ক্ষেত্রেই মূলত এটি প্রযোজ্য। সেখানেই শেখানো হচ্ছে যে, ডেটে গিয়ে হাত ধরার ক্ষেত্রেও নিতে হবে সঙ্গীর অনুমতি।