রাজধানীর গুলিস্তানে হকার মুক্ত করতে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর প্রতিবাদ গুলিস্তানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ওই এলাকার হকাররা। এ সময় তাদের অভিযান বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে গুলিস্তান, জিপিও ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন। এ সময় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা ছিলেন।
পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, সড়কে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা মূলত সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করার কাজ করছি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বায়তুল মোকাররম, জিরো পয়েন্ট ছাড়াও সুন্দরবন মার্কেটের সামনে, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে, আহাদ বক্সসহ আশপাশের সব রাস্তায় হকার উচ্ছেদের পাশাপাশি বুলডোজার দিয়ে স্থাপনাগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এ সময় হকাররা জড়ো হয়ে বাধা দিতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরিয়ে দিচ্ছে। মাঝে মধ্যে হকাররা বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ এবং স্লোগান দিচ্ছেন।
ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, অভিযান শুরুর পর একজনকে জরিমানা করা হয়েছে। তখনই হকাররা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। আমরা জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে যেখানে ব্যাঘাত ঘটবে সেখান থেকে আমরা সব হকার উচ্ছেদ করে দেবো।
হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাসিম কবির বলেন বলেন, সিটি করপোরেশন আমাদের মার্কেটে জায়গা দেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু সেটা না দিয়ে আজ আমাদের রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা এ অন্যায় কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না।
জানা গেছে, সিটি করপোরেশন সড়ক ও ফুটপাত লাল, হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে চিহ্নিত করেছে। লাল চিহ্নিত সড়ক ও ফুটপাতে কখনো হকার বসতে পারবে না। পাশাপাশি হলুদ চিহ্নিত সড়ক ও ফুটপাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত সময়ে এবং নির্দিষ্ট স্থানে হকার বসতে পারবে। তারই অংশ হিসেবে গত দুদিন ধরে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গুলিস্তানের বিভিন্ন স্থানের হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে।