জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, এ বিষয়ে আমাদের সময়ে কিছুই হয় নাই। যা কিছু ঘটার আগেই ঘটে গেছে। এটা পুরোপুরিই সরকারের পলিসির ব্যাপার।সোমবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২২ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এতে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। অবশ্য সরকার এর আগেই এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যাস্ত করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এছাড়া সরকারের রুলস অব বিজনেসে প্রয়োজনীয় সংশোধনীয় এনেছে। এর চূড়ান্ত ধাপ হিসেবে এখন বিদ্যমান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন রহিত করে সম্পূর্ণ নতুন করে এ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র ও সেবা সুরক্ষা বিভাগে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, কমিশনের আসলে উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই। এই প্রক্রিয়া আমাদের সময়ে শুরু হয় নাই। আমরা এন্ডিং অবস্থায় পাচ্ছি। বিষয়টা পুরোটাই সরকারের পলিসির ব্যাপার। আমি বলবো না ভালো হবে বা মন্দ হবে। এ বিষয়টা আমাদের সময়ে কিছুই হয় নাই। যা কিছু ঘটার আগেই ঘটে গেছে।প্রসঙ্গত এনআইডি অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য সরকার বেশ আগেই উদ্যোগ গ্রহণ নেয়। বিগত কে এম নূরুল হুদা কমিশনের বিরোধিতা করে বিষয়টি বিবেচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছিল। তবে সরকার ‘যৌক্তিক কারণ’ দেখিয়ে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এদিকে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে। তারা এর বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে একাধিকবার স্মারকলিপিও দিয়েছে। বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়ালের কমিশনের কাছেও তারা স্মারকলিপি দিয়েছে।