রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি।সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য এক ফোনালাপে এ আশ্বাস দেন তিনি।এ সময় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল করতে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আরও জোরালো ও কার্যকরী ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন এ কে মোমেন। গত মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই তার প্রথম ফোনালাপ।এ সময় নবনিযুক্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটিকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফোনালাপে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের অবদান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্পর্ক, বহুপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়।গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। চলমান সংঘাত এবং এর ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উল্লেখ করেন যে, সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।সৌজন্য ফোনালাপের সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।