যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিসভার গুছিয়ে নিচ্ছেন ঋষি সুনাক। এরইমধ্যে তার মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসের সর্বশেষ নিয়োগ করা অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে বহাল রেখেছেন।- খবর বিবিসির। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টা) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ঋষি সুনাক।মাত্র ১১ দিন আগে লিজ ট্রাসের সরকারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন জেরেমি হান্ট। দায়িত্ব পেয়েই ট্রাস ও তার প্রথম অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংর বিতর্কিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলো বাতিল করে দেন তিনি। এ বিতর্কের জেরেই শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে হয়েছে ট্রাসকে। যার ফলে অর্থমন্ত্রী হিসেবে জেরেমি হান্টকে পরিবর্তনের প্রয়োজন মনে করেননি নতুন প্রধানমন্ত্রী। আর জেরেমি একজন প্রভাবশালী কনজারভেটিভ নেতাও।বরিস জনসনের সরকারে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রী ছিলেন ডমিনিক রাব। তাকে আগের পদে নিয়ে আসলেন ঋষি সুনাক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আবার নিয়োগ পেয়েছেন জেমস ক্লেভারলি। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে থেকে যাচ্ছেন বেন ওয়ালেসই।গত সেপ্টেম্বরে ক্লেভারলিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন লিজ ট্রাস। এর আগে, বরিস জনসনের সরকারে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।২০১৯ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওয়ালেস। ট্রাসের সরকারে এ পদ ফিরে পান তিনি। এবার ঋষি সুনাকের সরকারেও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়টি সামলানোর ভার পেলেন এ নেতা।ব্রিটিশ পার্লামেন্টের চিফ হুইপ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাইমন হার্ট। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওয়ালেস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা সুয়েলা ব্রাভারম্যান। তিনি সেই মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্টিভ বার্কলে। ব্যবসামন্ত্রী হয়েছেন গ্র্যান্ড শ্যাপস। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন গিলাস কিগান। পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন থেরেসে কফি।ডাউনিং স্ট্রিট নিশ্চিত করেছে, ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর নিযুক্ত হয়েছেন অলিভার ডাউডেন।এদিকে নেতৃত্বের দৌড়ে বরিস জনসনকে প্রাথমিকভাবে সমর্থন করা সত্ত্বেও ঋষির মন্ত্রিসভায় থাকছেন নাদিম জাহাভি। তিনি এতদিন দফতরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন।