ইউক্রেন থেকে গম আমদানি ফের বন্ধ হয়েছে। অপরদিকে ভারত থেকেও গম আসছে না। এ কারণে দেশের বাজারে গমের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে গত দুই দিনে ধরে গমের দামও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এমন সংকটের মধ্যে বিকল্প দেশ থেকে আমদানির সুযোগও কম। কারণ ডলার সঙ্কট। তাই এলসি সহজ করার তাগিদ তাদের।এমনিতেই গত প্রায় ছয় মাস ধরে ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে চলছে গমের বাজার। সেইসাথে এবার যোগ হয়েছে ইউক্রেন থেকে সরবরাহ বন্ধের খবর। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে। যুদ্ধের আগে স্বাভাবিক সময়ে এ বাজারে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার টন গম বেচাকেনা হয়। তবে পরে তা নেমে আসে ১০-১২ হাজার টনে। এখন তা আরো অর্ধেকে নেমেছে।একইসাথে বাড়তে শুরু করেছে দামও। গেল সপ্তাহে যে গমের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪৪ টাকা, গতকাল মঙ্গলবারে (১ নভেম্বর) তা দাঁড়ায় ৪৬ টাকায়।আলম ট্রেডিং করপোরেশনের পরিচালক জাবেদুল আলম বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গম রপ্তানি করেছে ভারত। এরপর দেশটি আমাদের তা দেয়নি। ফলে মজুত কমে গেছে।মেসার্স মুনাল ট্রেডিংয়ের পরিচালক সুমন কুমার সাহা বলেন, বাজারে ঊর্ধ্বগতি একটু আছে। কারণ, গমের সংকট রয়েছে। তবে যে জাহাজগুলো আসছে, সেগুলো খালাস হলে সমস্যা থাকবে না।ইউক্রেন আর ভারত থেকে সরবরাহ স্থবির হওয়ার পর আমদানির জন্য বিকল্প দেশ খুঁজলেও তাতে অন্যতম বাধা ডলার সংকট। এ কারণে কমেছে আমদানির ঋণপত্রের পরিমাণ।খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে সরকারিভাবে গমের মজুত আছে ৫৪ হাজার ৩৭৫ টনের মতো। খালাসের অপেক্ষায় আরো ৫৫ হাজার টন।তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ইউক্রেন থেকে আসা বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা এক লাখ ২০ হাজার টন গম ভর্তি দুটি জাহাজ ১০ দিন ধরে প্রক্রিয়াগত জটিলতায় চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে আছে।