শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই: সেনা প্রধান

প্রকাশিত হয়েছে-

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার সাথে সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও আধুনিকায়নের পথে এগুচ্ছে। দিন দিন সক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যত আধুনিক অস্ত্র আমরা কিনি না কেন, যত ডিজিলাইটেশন করি না কেন, যারা এটা পরিচালনা করবে তারা যদি সুদক্ষ না হয় তাহলে এগুলো সমস্ত ব্যর্থ হবে। এজন্য আমাদের দরকার কঠোর প্রশিক্ষণ। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ। এই মূলমন্ত্র ধারণ করে সেনাবাহিনী এগুচ্ছে। যতগুলো প্রশিক্ষণ সেনাবাহিনী করে, তার মধ্যে এসল্ট প্রশিক্ষণটা খুবই কঠিন ও কাছাকাছি যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। একটা রণকৌশলে শারীরিক যে কসরতগুলো দরকার হয় সেসবগুলো এসল্ট প্রশিক্ষণে আছে।আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ১০ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আন্তঃফরমেশন এ্যাসল্ট কোর্স প্রতিযোগিতা ২০২২ এর পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনা প্রধান এসব কথা বলেন।রামু সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সেনা প্রধান বলেন, দুই বছর করোনার জন্য বন্ধ থাকার পরও এবার প্রশিক্ষণে দেখলাম আগের যে গড় সময় ছিল তার চেয়ে গড় সময় কমেছে। তার মানে হলো আগের চেয়ে সেনাবাহিনী অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেছেন।সেনা প্রধান সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রশিক্ষণে মনোযোগ দেয়ার পাশাপাশি মূল দায়িত্ব মাতৃভূমিকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হবে। এরই জন্য সেনাবাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগের মানসিকতা থাকতে হবে।গত ১৩ নভেম্বর শুরু হয় এ প্রতিযোগিতা। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬টি বড় ও ছোট ফরমেশন দল অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিযোগিতায় ১০ পদাতিক ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন ও ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতায় ১০ পদাতিক ডিভিশনের সৈনিক মো. তপু মোল্লা প্রথম শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী এবং সৈনিক গোলাম রাব্বানী ২য় শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ দলসমূহের মহড়া প্রদর্শন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার এরিয়ার সকল অফিসার, জেসিও ও অন্যান্য পদবীর সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।