চলতি শীত মৌসুমে পঞ্চগড়ে বছরের শেষ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবারও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের বিষয়টি জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। বর্তমানে এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্য মতে জানা যায়, ২০২২ সালের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩১ জানুয়ারিতে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার পাশাপাশি ৩০ জানুয়ারি ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ জানুয়ারি ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ জানুয়ারি ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুরো জানুয়ারি মাসে ১৮ দিনের মতো ১০ এর নিচে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল। গত মাসে ৬ ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছিল।ফেব্রুয়ারিতে ১১ দিন ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হতে দেখা যায়।সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ। বিকেল থেকেই বইতে শুরু করে উত্তরের হিমেল হাওয়া। এ হাওয়ায় নেমে আসে শীত। গত তিন দিন ভোর থেকে বেলা অবধি ঘন কুয়াশা থাকলেও আজ ভোর থেকে কুয়াশা না থাকায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রামে শহরের হাটবাজারগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, বছরের শেষ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালও ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে জানুয়ারিতে তাপমাত্রা কমতে পারে।