গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানিতে ১ দিনের জন্য চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের (সিইও) দায়িত্ব নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।বুধবার (৪ জানুয়ারি) এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন টাইগারদের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক। প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব।এ সময় এক স্ংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিপিএল আয়োজনে যদি সিইও হতেন তাহলে কী ভূমিকা রাখতেন? জবাবে সাকিব জানান, ‘দায়িত্ব দিলে পরিবর্তন আনতে সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ মাস লাগবে তার।’সাকিব বলেন, ‘আমাকে যদি সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয় আমার বেশিদিন লাগবে না। আমার ধারণা, ১ থেকে ২ মাস লাগবে সবকিছু ঠিক করতে- ম্যাক্সিমাম। দুই মাসও লাগার কথা নয়। দুই মাস তো অনেক দূরের কথা বলেছি।’চলতি মৌসুমে নতুন করে সিইও হলে আপনি কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘এই মৌসুমের সবকিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, অকশন হবে। ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে, সব আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে, হোম এন্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।’দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ বিপিএলকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে তুলনা করতেও নারাজ সাকিব। প্রিমিয়ার লিগের চেয়েও বিপিএলকে পিছিয়ে রাখছেন, ‘একটা যা-তা অবস্থা। এর থেকে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) আরও ভালোভাবে হয়। কারণ, আগে থেকেই দল গোছাতে পারে। আরও আগে থেকে জানে যে দলটা কী হচ্ছে এবং তারা সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে।’ সাকিব মনে করেন বিপিএল বাজারজাতের জায়গা থেকে বড় ব্যর্থতা।দেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার উদাহরণ টেনে সাকিব বলেছেন, ‘গ্রামের এমন কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চল দেখবেন না, যেখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। এমন তো না যে জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের একটা দেশে এত পছন্দের একটা খেলা, তার বাজারটা থাকবে না, এটা খুবই দুঃখজনক। মানে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না।’