যশোরে মানব পাচার মামলায় আটক করা হয়েছে রেহানা আক্তার (৪৭) নামপর এক নারীকে। গতকাল শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সদেরর কচুয়া এলাকা থেকে রেহানাকে আটক করে পুলিশ। আটক রেহানা আক্তার সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী।এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মানব পাচারের অভিযোগে একটি মামলা (২৯/১৪.০১.২৩) করেছেন। মামলায় আসামি রেহানা আক্তার (৪৭) ও তার মেয়ে রুম্পা খাতুনসহ (২৬) অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।ভুক্তভোগী বাদী তার মামলার অভিযোগে বলেন, আমি অসহায় আমার বয়স যখন ছয়দিন তখন পারুল আক্তার নামে আমার পলক মা আমাকে দত্তক নিয়ে মানুষ করে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পর ২০১৪ সালে সোহাগ নামে একটি ছেলের সাথে বিয়ে দেয়। সেখানে আমার একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। এর পরে সোহাগ আমাকে তালাক দেয়। আমি আবার আমার পালক মায়ের কাছে যেয়ে আশ্রয় নেই। আসামিরা আমার পূর্বপরিচিত হওয়ায় আমাকে বৈধ ভাবে আড়াই লাখ টাকায় বিদেশ পাঠাবে বলে প্রলোভন দেখায়।এর মধ্যে ৪০ হাজার টাকাও দেই। ঘটনার দিন গত বছর ২৭ নভেম্বর ২০২২ সকাল ১১টায় রুপদিয়া বাসস্টান্ডের থেকে বাসে করে ঢাকায় নিয়ে যায়। ৩০ নভেম্বর রাতে বিমানে করে দুবাই নিয়ে একটি বাসায় তুলে সেখানে আমাকে ধর্ষণ করা হয়। এর পরে হোটেলে তুলে জোর করে আমাকে দিয়ে নিয়মিত দেহ ব্যাবসা করানো হতো। ২২ দিন পরে কৌশলে পালিয়ে দুবাই পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে দেশে আসি।এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এঘটনায় মানব পাচারের মামলা হয়েছে। একজন নারী আসামিকে আটক করা হয়েছে।