সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শ্রাবন্তী তার নতুন সিনেমা ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
অভিনয়ের চেয়েও তাকে ঘিরে চর্চা হয় মূলত তার ব্যক্তিজীবনকে কেন্দ্র করে। সম্পর্ক, বিয়ে, বিচ্ছেদ, পোশাক-আশাক এসব নিয়ে বছরজুড়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন শ্রাবন্তী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করলে সেখানে ট্রোলের বন্যা বয়ে যায়। বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন তিনি?
প্রশ্নটা এসেছে মূলত তার ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ছবির একটি সংলাপ ধরে। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার ন্যুডিটি আমার কনসার্ন, অন্য কারোর নয়’।
এ ব্যাপারে শ্রাবন্তীর ভাষ্য, ‘যারা এই সমালোচনা করে, তাদের নিজেদের জীবন নিয়ে ভাবা উচিত। তারপর অন্যকে জাজ করুক। মানুষ একটু বেশিই জাজমেন্টাল হয়ে যায়। ট্রোল নিয়ে আমি আর বলতে চাই না, পাত্তাও দিই না।’
খোলামেলা পোশাক নিয়ে তার বক্তব্য, ‘যে খোলামেলা পোশাক পরছে সে যদি কমফোর্টেবল হয়, তাহলে অন্যদের কথায় কিছু যায় আসে না। অনেকের হয়তো তাকে দেখতে ভালো লাগছে। হাতের পাঁচটা আঙুল তো সমান হয় না।’
এদিন নিজের সিনেমা ও ফিটনেস নিয়েও কথা বলেন শ্রাবন্তী। তিনি জানান, ‘সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চান তিনি। খাবারের বেলাতেও জিহ্বাকে দিচ্ছেন পরিপূর্ণ স্বাধীনতা। তার কথায়, ‘ডায়েট আমি করতে পারব না। খাব, আবার জিমে গিয়ে কসরত করব। কারণ আমি নিজের মনকে কষ্ট দিয়ে ডায়েট করতে পারব না। তবে এখন স্বাস্থ্যকর খাবার খাই।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে শ্রাবন্তী অভিনীত সিনেমা ‘কাবেরী অন্তর্ধান’। এতে প্রথমবারের মতো কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় অভিনয় করছেন তিনি। এই ছবি দিয়েই দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর একসঙ্গে পর্দায় আসছেন প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তী। এর আগে ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে প্রসেনজিতের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ছোট্ট শ্রাবন্তী।