বরগুনার আমতলী উপজেলার গ্রামে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। এখন কেউ ঘরে বসে নেই। পুরুষের পাশাপাশি পরিবারের নারী সদস্য ও শিশুদের নিয়ে কাজে নেমে পরেছেন তারা। তাদের যেন একটুও ফুরসত নেই।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মাত্র ২৫০০ হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৪ হাজার হেক্টরেরও বেশি। দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এ উপজেলায় রসালো তরমুজ চাষ ভালো হয়।উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কুকুয়া,আঠারোগাছিয়া, হলদিয়া, চাওড়া ও সদর ইউনিয়নে তরমুজের ফলন ভালো হয়। চাষীরা ইতোমধ্যে জমি চাষাবাদ করে বীজ রোপনের পর চারা বড় হয়ে গেছে। এখন কৃষকরা তরমুজ চারার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।সরেজমিনে উপজেলার কুকুয়া চাওড়া , গুলিশাখালী সোনাখালী, গাজীপুর, পাতাকাটা, চন্দ্রা, উত্তর-দক্ষিণ রাওঘা ও কৃষ্ণনগর গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা মাঠে কাজ করছে। মাঠের পর মাঠ চাষাবাদ করে তরমুজ গাছে পরিচর্যা করছেন কৃষকরা । এ কাজ করতে পুরুষর পাশাপাশি পরিবারের নারী ও শিশুরাও মাঠে কাজ করছে।কুকুয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের গাজী শহিদুল ইসলাম সাজিদ বলেন, বীজের দাম বেশি থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজ চাষে খরচও বেশি হবে।কেওয়াবুনিয়া গ্রামের শহিদুল গাজী বলেন, তিনি এ বছর ৫ কানি জমিতে তরমুজ চাষ করছেন।আমতলী উপজেলার কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, এ অঞ্চলে তরমুজের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকরা তরমুজ চাষের প্রতি ঝুকে পড়েছে। এ বছর আমতলী উপজেলায় তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫ শ হেক্টর কিন্তু আবাদ হয়েছে ৪ হাজার হেক্টরের ও বেশি।