বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন

রমজানের পণ্য আমদানির শঙ্কা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে /

আর মাত্র দেড় মাস পর শুরু হবে রমজান মাস। এই মাসকে সামনে রেখে পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে রোজায় পণ্য আমদানি নিয়ে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল সেই শঙ্কা কেটে গেছে।বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এলসি খোলার বিষয়ে জানানো হয়।সম্মেলনে জানানো হয়, আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে এলসি খোলার পরিমাণ গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় অনেক বেশি। তারপরও বিভিন্ন মাধ্যমে এলসি খোলার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন। এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে রমজানে কোনও পণ্যের ঘাটতি হবে না। এছাড়া রফতানি বৃদ্ধিতেও আমরা বিশেষ নজর রেখেছি। গত নভেম্বর মাস থেকে প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মোট রফতানি আয় হয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলার যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২৯ বিলিয়ন ডলার।তিনি জানান, রমজান মাসে ৫টি পণ্যের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। আর বাজার স্বাভাবিক রাখতে এসব পণ্য আমদানিতে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ৫.৬৬ লাখ মেট্রিক টন চিনির এলসি খোলা হয়েছে। এক বছর আগের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫.১১ লাখ মেট্রিক টন। সুতরাং এ বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন বেশি চিনির এলসি খোলা হয়েছে।মেজবাউল হক বলেন, আগের বছরের জানুয়ারির তুলনায় গত মাসে ছোলা বাদে বাকি পণ্যগুলোর জন্য এলসি খোলা বেড়েছে। এর মধ্যে ভোজ্যতেল ৩৯ হাজার টন, পেয়াজ ৬.৩৩ হাজার টন ও খেজুরের এলসি খোলা বেড়েছে ১৩ হাজার টন। গতবছরের জানুয়ারির তুলনায় ছোলার এলসি কম খোলা হয়েছে ৪১ হাজার টন।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD