৬৬ বছর বয়সী এক নারী। আলঝেইমার (স্মৃতিভ্রম) রোগ আছে তাঁর। গত বছরের শেষ দিকে হঠাৎই তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই তাঁকে আলঝেইমার রোগীর জন্য বিশেষায়িত একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর পরিবার ‘মরদেহ’ সৎকারের প্রক্রিয়া শুরু করে।সব রীতি শেষে সৎকারের জন্য কফিনে করে নির্ধারিত স্থানে ‘মরদেহ’ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মরদেহ সৎকার করার জন্য যে কর্তৃপক্ষ ছিল, তার প্রধান কফিন খুলে দেখেন কফিনের ভেতরে থাকা নারী মৃত নন। এরপর তিনি বিষয়টি নারীর পরিবারকে জানান। পরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।গত ৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০ ডিসেম্বর ওই নারীকে আইওয়ার গ্লেন ওকস আলঝেইমার স্পেশাল কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২৮ ডিসেম্বর বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। ৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তাঁর মৃত্যুর কথা জানানো হয়।কিন্তু রোগীর মৃত্যু না হলেও মৃত্যুর কথা জানানোর ঘটনায় আইওয়ার আরবানদেল শহর কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও আপিল শাখার কাছে অভিযোগ করে নারীর পরিবার। তদন্ত ও আপিল বিভাগ নারীর পরিবারের করা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করা হয়েছে।তদন্ত ও আপিল বিভাগ জানিয়েছেন, ৩ জানুয়ারি সকালে ওই নারীর অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় তাঁর মুখ ছিল খোলা, চোখ ছিল নিশ্চল। এটা দেখে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ধারণা করা হয় তিনি মারা গেছেন। পরে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারকে জানানো হয়। এরপর কফিনে করে ‘মরদেহ’ নিয়ে বাড়ি ফেরেন ওই নারীর স্বজনেরা।তবে ওই নারীর পরিচয় জানানো হয়নি। যেখানে সৎকার করার জন্য ওই নারীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার পরিচালক সিএনএনকে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য ওই নারীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ নিয়ে আমরা আর কোনো মন্তব্য করব না।’ আর এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।