তুরস্ক এবং সিরিয়ায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যুর মিছিল কোথায় গিয়ে থামবে, কারো কাছে এর উত্তর নেই। প্রতিটি মুহূর্ত একটি করে পরিবারের কপালে পড়ছে ভাজ। তাদের আর্তনাদে কাঁদছে পুরো বিশ্ব।
তুরস্কে গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৩ জনে।তুরস্ক ও সিরিয়া কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০০ বছরের ইতিহাসে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো আর এরকম ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখিনি। এই ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মৃতদের স্মরণে ঘোষণা করা হয়েছে ৭ দিনের জাতীয় শোক।
এদিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনে গেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি স্বীকার করেছেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা ছিল। এই শহরটিই ছিল দ্বিতীয় ভূমিকম্পের কেন্দ্র এবং প্রথম ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে।উদ্ধারকাজে বিলম্ব হওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও রাস্তাঘাটকে দায়ী করেছেন তিনি বলেন, উদ্ধারকাজ এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে যা কিছু আছে তার সবই আমরা কাজে লাগিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। রাষ্ট্র তার কাজ করে যাচ্ছে।’
তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে ধীরগতির অভিযোগ করছেন। তারা বলছেন, সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে এবং এ কারণেই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
পরিবারগুলো বলছে, তাদের যেসব সদস্য নিখোঁজ রয়েছে তাদেরকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় সাহায্য তারা পাচ্ছে না।