শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

কিশোরগঞ্জে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেপ্তার

সোহেল মিয়া, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে / ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

কিশোরগঞ্জে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন আসামি গ্রেপ্তার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় হত্যা মামলা রুজুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামি কলেজছাত্র মো:গোলাম রাব্বী শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জের ৪নং আদালতে বিচারক রিয়াজুল কাউসারের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখলা বাজারের এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে কলেজছাত্র মো. গোলাম রাব্বীকে (২০) গ্রেপ্তার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামি গোলাম রাব্বী উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের চরখামা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি মঠখলার হাজী জাফর আলী কলেজের এইচএসসির ২য় বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র। নিহত ইসমাইল (৪০) একই গ্রামের মৃত লিলু মিয়া ছেলে। তিনি বোনের বাড়িতে থেকে শিলপাটার খোদাইয়ে কাজ করতো।

পুলিশ জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাকুন্দিয়ায় চরখামা এলাকায় নদীর ধারে মো. ইসমাইল (৪০) নামক এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়৷ হত্যাকারী ভিকটিমের গলায় মাফলার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ উপুর করে ফেলে রেখে যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ৷

ভিকটিম শিলপাটা ধার করে জীবিকা নির্বাহ করত বলে জানা যায়৷ ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কারও প্রতি কোন সন্দেহ না থাকায় সেদিন সন্ধ্যায় থানায় এসে ভিকটিমের বড় বোন আসমা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলার এজাহার দায়ের করেন৷

জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা ও তদারকিতে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ সারোয়ার জাহান মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করেন৷ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলা রুজুর ৪৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার সাথে মো. গোলাম রাব্বী (২০) কে গ্রেপ্তারি করা হয়৷

১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আসামী মো. গোলাম রাব্বী বলেন, অবৈধ সম্পর্ক ও আর্থিক লেনদেনসহ নানাবিধ কারণে ভিকটিমের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এরপর ঘটনার দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যার পর ভিকটিম কুড়িখাই মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কৌশলে নদীর ধারে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় ৷ এরপর রাত ৯টার পর গিয়ার নামক পানীয়র সাথে গোপনে ৪ পিস ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর পর ঘুম চলে আসলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করে ৷

ঘটনাস্থল থেকে ঘুমের ট্যাবলেটের খালি পাতা, গিয়ার পানীয়র খালি বোতল ও অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে ৷ জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD