কাজের আশ্বাস দিয়ে ঢাকায় নিয়ে নেত্রকোনার মদন উপজেলার এক নারীকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলাচ্ছে একটি মহল। বিচারের আশায় ঘুরছেন হতদরিদ্র ভুক্তভোগী নারী।ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার কথা বলে জানা গেছে, গৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা বলে সম্প্রতি তাঁকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেন চালক সবল ও গাড়ির মালিক তামজিদ। পরে ঢাকার একটি বাসায় আটকে রেখে দুজনে মিলে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ১৭ মার্চ রাতে তাঁকে মদন উপজেলার একটি সড়কের পাশে ফেলে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। চালক সবল উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দড়িবিন্নী গ্রামের বাসিন্দা।এ ঘটনা এলাকায় জানানোর পর স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নারীর।ওই নারীর বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমার মেয়েকে বাসা-বাড়ির কাজ দেবে বলে প্রলোভন দিয়ে গাড়ির মালিক তমজিদ ও চালক সবল ঢাকায় নিয়ে যায়। পরে শুক্রবার রাতে গাড়ির মালিক ফোন করে আমাকে বলে, আপনার মেয়ে সড়কের পাশে আছে। মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসার পর জানতে পারলাম, পাঁচ দিন আটকে রেখে তারা ধর্ষণ করেছে। ঘটনার পর থেকে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।’