রমজান মাসে ইফতারের সময় জানাতে একসঙ্গে আটটি কামান থেকে গোলা ছুড়বে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। দেশটিতে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে বুধবার বা বৃহস্পতিবার থেকে এ পবিত্র মাস শুরু হতে যাচ্ছে।এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইফতারের সময় জানান দিতে গোলাবর্ষণের জন্য দুবাই পুলিশ আমিরাতের বিভিন্ন অংশে ৮টি কামান স্থাপন করেছে। এসব কামানের মধ্যে সাতটি কামান নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপিত (ফিক্সড) এবং অন্যটি ভ্রাম্যমাণ কামান।ভ্রাম্যমাণ এই কামানটি পবিত্র রমজান মাসজুড়ে দুবাইয়ের ১৫টি এলাকায় ভ্রমণ করবে।
১৯৬০ এর দশকের শুরু থেকে আমিরাতে ইফতারের সময় জানান দিতে কামান থেকে গোলাবর্ষণ রমজানের একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে।
দুবাইয়ের অপারেশনস অ্যাফেয়ার্সের সহকারি কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল আবদুল্লাহ আলী আল গাইথি নিশ্চিত করেছেন, রমজানকে সামনে রেখে দুবাই পুলিশ ইতোমধ্যেই এসব কামানের প্রস্তুতি শেষ করেছে।
পবিত্র এই মাসে প্রতিদিনই দিনের শেষে রোজার সমাপ্তি এবং ইফতার শুরু করার ঘোষণা দিতে কামান থেকে একটি করে গোলাবর্ষণ করা হয়।
এছাড়া রমজান মাস শুরুর সময় এবং ঈদের সূচনা তথা চাঁদ দেখা গেলে দু’টি করে গোলাবর্ষণ করা হয়।
মেজর জেনারেল আল-গাইথির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময়ে কামান থেকে গোলাবর্ষণের জন্য নির্বাচিত প্রতিটি এলাকায় একজন কর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে।
এ বছর দুবাই এক্সপো সিটি, বুর্জ খলিফা, আপটাউন, মদিনাত জুমেইরাহ, ফেস্টিভাল সিটি, দামাক এবং হাত্তা ইন-সহ আমিরাতজুড়ে সাতটি স্থানে কামান স্থাপন করেছে দুবাই পুলিশ।
এছাড়া মোবাইল বা ভ্রাম্যমাণ কামানটি দুবাইয়ের ১৫টি এলাকায় ঘুরবে। প্রথমে এই কামানটি সাতোয়া গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে শুরু হয়ে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল সেন্টার, জাবিলের গ্র্যান্ড মসজিদে, তারপরে লুসাইলির আল-নাহদা স্কুল ফর গার্লস, এরপর এটি আল-হাবাব মসজিদে স্থানান্তরিত হবে।
তারপর আল-আবির গ্র্যান্ড মসজিদ, আল-খাওয়ানিজের আল-হাবাই মসজিদ, আল-তোয়ার বিন দাফুস মসজিদ, আল-কুওজ ৪ ‘আল-খাইল হাইটস’ এলাকায়, মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সিটি, আইন দুবাই, আল-বার্শার আল-সালাম মসজিদ এবং জুমেইরার কাইট বিচ, নাদ আল শেবা মসজিদ এবং অবশেষে মানখুলের ঈদের নামাজের হল এলাকায় গিয়ে ইফতারের সময় গোলাবর্ষণ করবে।