কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থেকে অপহরণকৃত এক দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে নিকলী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে।শুক্রবার (৭ এপ্রিল ) কটিয়াদী উপজেলা থেকে উদ্ধার করেন এই স্কুল ছাত্রীকে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার নিকলী সদর ইউনিয়নের কৈবর্ত হাঁটি গ্রামের মোঃ কাঞ্চন মিয়ার।মেয়েকে জোরপূর্বক ভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায়।অপহরণকৃত ওই স্কুল শিক্ষার্থী বলেন আমাকে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন।তাছাড়াও আমার বাবার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য বারবার আমাকে চাপ প্রয়োগ করেন বলেন, টাকা না দিলে তোমার অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে, দিব এজন্য আমি চুপচাপ ছিলাম।এবং টাকা না দিলে আমার বাপ ভাইকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন এই ধর্ষণকারী।ঘরে বউ রেখে সুকৌশলে মেয়েদেরকে সাথে প্রেমের অভিনয় করে, এভাবে নিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করতেন,কুশশা মাইজহাটি গ্রামের আলতাব মিয়ার ছেলে, মোঃ সিয়াম ওরফে ইয়াবা সিয়াম(২৪)।দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল শিক্ষার্থীর রাইসা আক্তারকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা-মা নিকলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সিয়াম জানায় আপনার মেয়েকে ফেরত পেতে হলে আমাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। নয়তো আপনার মেয়ের নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিব।এই ঘটনায় ৬ এপ্রিল নিকলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাইসার বাবা কাঞ্চন মিয়া।পুলিশ উপরিদর্শক জুবায়ের হোসেন বলেন,কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার স্যারের দিকনির্দেশনায় ও নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনসুর আলী আরিফ স্যারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সঙ্গীয় পুলিশের একটি টিম কে নিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আসামিকে কটিয়াদির থানার নকলা সুতিপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।স্কুল শিক্ষার্থী রাইসা আক্তার কে উদ্ধার করি।আটককৃত হলেন- মোঃ সিয়াম ওরফে ইয়াবা (ওরফে ইয়াবা সিয়াম)।উপ-পুলিশ পরিদর্শক জোবায়ের হোসেন এই পুলিশ অফিসারের প্রশংসার ঝুলিতে আরো অনেক একাধিক প্রশংসার প্রাপ্তি উদ্ধার করে পেয়েছেন। বিভিন্ন সময় উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে উপাধিও পেয়েছেন জেলা পুলিশ সুপারের কাছ থেকে।