মানিকগঞ্জের সিংগাইরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে জমির মালিক বাধা প্রদান করায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক ইনফরমারের বিরুদ্ধে।সোমবার (১৫ মে) ভুক্তভোগী জমির মালিক আওয়াল মিন্টু (৫০) এ বিষয়ে পুলিশের ইনফরমার সানোয়ার সহ আরও কয়েক জনের নামে সিংগাইর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, মান্নান (৪৮), ইসরাফিল (৫৫), স্বপন (৫০), আকলেছ (২৮),ইসরাফিল (২৮) এবং সোলায়মান (২২)। অভিযুক্তরা সকলেই সিংগাইরের একই এলাকার বাসিন্দা।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় আউয়াল মিন্টু (৫০) এর জমি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এ সূত্র ধরে ভূক্তভোগী মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করলে তার পক্ষে রায় প্রদান করেন। এর ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তরা ১৫/১২/২০২০ তারিখে ডিক্রী জারির মোকদ্দমা করা হলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে পুনরায় ভূক্তভোগীর পক্ষে রায় ঘোষণা করেন।কিন্তু এবছর মার্চের ২৩ তারিখে সকাল ১১ টার দিকে অভিযুক্ত পুলিশের দালাল সানেয়ার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে সেই জমিতে স্থাপণা নির্মাণ করতে আসেন। সেসময় জমির মালিক বাধা প্রদান করলে তাকে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসলে তিনি চিৎকার চেচামেচি করে এলাকার মানুষকে জরো করে প্রাণে বেঁচে যান। তবে অভিযুক্তরা তকে অনবরত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সানোয়ার পুলিশের দালাল পরিচায় দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। জমি দখল, চাঁদা বাজী, হুমকি-ধামকি দেয়া, অবৈধ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিরীহ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো এবং মাদকদ্রব্য বিক্রি করা তার নিত্যদিনের কর্মকান্ড।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, পুলিশের দালাল সানোয়ারের অপকর্মে আমরা এলাকাবাসী বিরক্ত হয়ে গেছি। কিছু বললে পুলিশে ধরিয়ে দেবার ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেয়া হয়। আমরা সাধারণ মানুষ এসব বিরুপ পরিস্থিতিতে পরতে চাই না বলে তার সকল ধরনের অপকর্ম মুখ বুঝে সহ্য করি।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আওয়াল মিন্টু বলেন, সানোয়ার এলাকায় পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে সকল ধরনের অপকর্ম করে আসছে। আমি বারবার আদালত থেকে জমির রায় আমার পক্ষে পেয়েও কোনো সমাধান হয়নি। এই অবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত কাটাচ্ছি। যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারি৷ আমি এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করছি।এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই অভিযুক্ত সানোয়ার ২০১২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে জমি দখলের উদ্দেশ্যে নিজের চাচাতো ভাই শহীদকে টেটা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা পর লাশ টুকরো টুকরো করে এলাকার বিভিন্ন নর্দমার জায়গায় জায়গায় লুকিয়ে রাখে। এই ঘটনায় হত্য মামলায় ৬ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠে ভূমি দস্যু ও খুনি পুলিশের দালাল সানোয়ার।সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মো. মিজানুর ইসলাম বলেন, বিষয় টি আমার জানা নেই। তবে যারা এলাকায় অপকর্ম করছে এবং সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।