বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে এ অর্থবছরের (২০২৩) আমদানির জন্য ওপেনিং লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার পরিমাণ ২৩% কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বেসরকারি ও সরকারি সংস্থাগুলো ২০২৩ অর্থবছরে ৬৯.৩৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খুলেছে, যা এক বছর আগের ৯৪.২৬ বিলিয়ন ডলার থেকে বছরে ২৬% কম।
রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ ও বিনিময় বাজারে অস্থিরতার মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি নিরুৎসাহিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করে।
ব্যাংকাররা বলেছেন, বাজারে ডলারের ঘাটতির কারণে আমদানি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। যা অনেক ব্যবসায়িকে তাদের আমদানি কমাতে বাধ্য করেছে।
এছাড়া ডলার সংকটের কারণে কিছু ব্যাংক এলসি পেমেন্টের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারছিল না। ফলে নতুন এলসি খোলার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের রিজার্ভ এক বছর আগের থেকে ওঠানামার মধ্যে রয়েছে। গত ২৬ জুলাই দেশের রিজার্ভ ছিল ২৯ বিলিয়ন ডলার।
অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ের তথ্যে দেখা যায়, মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য এলসি খোলা কমেছে। ১১ মাসের মধ্যে যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ২.৬৯ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫৫% কম।
শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ ৩০% কমে ২১.১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, মধ্যবর্তী পণ্যের জন্য এলসি খোলা কমেছে ২৪%।
সবমিলিয়ে জুলাই-মে মাসে ব্যবসায়ীরা ১৮% কম মাত্র ৭.১৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি খুলেছেন।