শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নেত্রকোণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আশুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৭৭টি গাছের চারা রোপণ অটিজম শিক্ষার্থীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক গেলেন মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু সাভারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ব্যাংকার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রকল্প হস্তান্তর: গ্রাহকদের প্রশংসায় ভাসল ‘রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট’ আশুলিয়ায় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে হাফিজ নাজনীন ফাউন্ডেশন আ.লীগের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সন্ত্রাসীদের মতো: ফখরুল

মিশরে ৪ কোটি বছর আগের তিমির জীবাশ্মের সন্ধান

ডেস্ক এডিটর
  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে / ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

বিলুপ্ত হওয়া প্রাণী সম্পর্কে জানার জন্য গবেষকরা জীবাশ্ম অনুসন্ধান করে থাকেন। মিশরের মরুভূমিতে এ ধরনের গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে তারা ৪ কোটি ১০ লাখ বছর আগের তিমির জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। বিলুপ্ত হওয়া এই তিমির জীবাশ্মের মাধ্যমে গবেষকরা ধারণা দিচ্ছেন সেই অতি পুরনো সময়ে কেমন ধরনের প্রাণী বসবাস করত। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই তিমি সেই সময়ের, যখন তিমির পূর্ব প্রজাতির সদস্যরা মাত্রই ডাঙা থেকে পানিতে নিজেদের স্থানান্তর শেষ করেছে।

মিশরের জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির নাম দিয়েছেন ফারাও তুতেনখামেনের নাম অনুসারে ‘তুতসিটাস রায়ানেনসিস’। মিশরের ওয়াদি আল-রায়ান সংরক্ষিত এলাকার মরূদ্যান ফায়ুমে এই জীবাশ্ম পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তিমিটির দৈর্ঘ্য ছিল আড়াই মিটার বা ৮ ফুট এবং এর ওজন ছিল আনুমানিক ১৮৭ কেজি। এটি তিমির সবচেয়ে ছোট প্রজাতিগুলোর একটি।

গবেষক দলের প্রধান এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব কায়রোর অধ্যাপক হেশাম সালাম বলেন, ‘যখন থেকে এ প্রজাতির প্রাণীরা পরিপূর্ণরূপে পানিতে বাস করা শুরু করল, সেই সময়কার নিদর্শন বা তথ্য-প্রমাণ হিসেবে এই আবিষ্কার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, এই সময়টাতে এই প্রজাতির তিমির আগের প্রজাতির তিমিরা মাছের মতো বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। বিশেষ করে সুবিন্যস্ত দেহ, শক্ত লেজ, পাখনা এবং পুচ্ছ-পাখনা এই সময়েই অর্জিত হয়।

কায়রো থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ফায়ুম মরূদ্যানে অবস্থিত ওয়াদি আল-হিতান। এটি তিমির উপত্যকা নামে পরিচিত। এটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে তিমির প্রাচীনতম প্রজাতির শত শত জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ৫ কোটি ৬০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ বছর আগে ইওসিন যুগে এই জায়গায় একটি সমুদ্র ছিল।

এই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তিমির জীবাশ্ম অনুসন্ধানে কাজ করে থাকেন। জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী হিরোশি কইয়ো এদের অন্যতম। তিনি সেখানে সাতটি তিমির জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বলেন, জীবাশ্ম নিয়ে বিজ্ঞানীদের কাজ অতীতের পৃথিবী সম্পর্কে বিশদ ধারণা দেয়।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD