জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশনের ২৯, ৩০ ও ৩২ নং ওয়ার্ড (সংরক্ষিত কাউন্সিলর) ও মোহাম্মদপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আক্তার সাথী।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে মোহাম্মদপুর বাইতুস সালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ বজলুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র রাসেল ও গর্ভবতী পুত্রবধূকেও ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা এ ধরনের নিষ্ঠুর রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড আর দেখিনি। যারা ১৯৭১ সালে পরাজিত হয়েছিল, তারাই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েও বঙ্গবন্ধু আজ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
অনুষ্ঠানের আয়োজক কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আক্তার সাথী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের ডিজিটাল দেশ। সেই স্বপ্ন আজ অর্জিত হয়েছে। তিনি আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন ২০৪১ এর উন্নত স্বপ্নের সোনার বাংলার। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তিরা এখনো আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত। এই অপশক্তির চক্রান্ত থেকে জাতিকে সাবধান হতে হবে। শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে এগিয়ে যেতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দেখানো অগ্রযাত্রার পথে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা,মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ এম, এ, সাত্তার,মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল সিদ্দিক তুহিন।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন- আবুল বরকত ভূঁইয়া, এ.আর. আলমগীর সরোয়ার হোসেন খোকন, মর্তুজা আলী সুমন, হায়দার মাহমুদ ফয়সাল, মোঃ আল-আমিন, বাদশা হোসেন, মনির হোসেন জনি, নান্নু মিয়া, রতন হোসেন।
আলোচনা সভার পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করাসহ দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়।