সাভারে এস এ পরিবহনের পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস থেকে আড়াই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ সময় ওই অফিসে পার্সেল রিসিভ করতে গিয়ে আটক হন দুই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী।আটক দুজন হলেন রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নের ৩৫ বছর বয়সী মো. বাবুল ও ঢাকার ধামরাই এলাকার ৩২ বছরের মো. শরিফ।রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে এস এ পরিবহনের সাভার শাখা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।পুলিশ জানায়, কক্সবাজার থেকে মাদক আসছে গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার একটি আভিযানিক দল সাভার পাকিজা এলাকায় অবস্থিত এস এ পরিবহনের অফিসে অবস্থান নেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পুলিশ আসার আগেই মাদক ব্যবসায়ীরা পার্সেল ডেলিভারি নিয়ে চলে যায়। পরে পুলিশ কৌশলে তাদেরকে ডেকে এনে তাদের হেফাজত থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো উদ্ধার করে।সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে জানান, বাবুল এবং শরিফ নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আমরা ২৫০০ পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করেছি। তারা আজ (রোববার) কক্সবাজার থেকে ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে করে সাভার আসে। গোপন সূত্রে খবর পাই তারা এস এ পরিবহনের মাধ্যমে মাদক নিয়ে আসছে। সেই মোতাবেক আমাদের একটি টিম কাজে নামে। তবে আমাদের টিম পৌঁছানোর পূর্বেই তারা পার্সেল সংগ্রহ করে চলে যায়। তাৎক্ষণিক কৌশলে তাদেরকে এখানে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের হেফাজত থেকে প্রসাধনী ‘ক্রিমের’ কৌটার মধ্যে রাখা ২৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, মূলত এই চক্রটি কৌশলগতভাবে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা ক্রয় করে এস এ পরিবহনের মাধ্যমে এখানে পাঠায়। অপরদিকে, নিজেদের পরিচয় আড়াল করতে এবং আসার পথে গ্রেফতার এড়াতে তারা নিজেরা আলাদা গাড়িতে করে সাভার এসে কুরিয়ার করা পার্সেল সংগ্রহ করে। পরে এসব মাদক সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এস এ পরিবহন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে স্বাভাবিকভাবে কারোর পক্ষে এর ভিতরে কি আছে তা জানা সম্ভব নয় কারণ ইন্টেক ক্রিমের কৌটায়র ভেতরে এই ইয়াবা আনছিলো তারা৷ তিনি বলেন, এই মাদক আনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।