বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৭ অপরাহ্ন

‘বিনয়ের সাথে আকঁড়ে ধরে বাংলার শুদ্ধ চর্চা করতে হবে’ 

মুনিয়া রহমান জান্নাত, গবি প্রতিনিধি
  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১৭০ বার পড়া হয়েছে /
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবেসে ঝাপিয়ে পড়েছিলো এক ঝাঁক তরুণ। নিজের রক্তের বিনিময়ে ফিরিয়ে এনেছিলো মাতৃভাষার অধিকার। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ নিয়ে ৭২ বছর পরের তরুণ প্রজন্মের ভবনা তুলে ধরেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সংবাদকর্মী মুনিয়া রহমান জান্নাত।

‘বাংলার স্বাধীনতার বীজ বপন করে রক্তক্ষয়ী ভাষা আনদোলন’

মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি হলো মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার তিনটি অবলম্বন। তার মধ্যে নির্দিষ্টভাবে বললে মাতৃভাষা হলো একটি জাতির ঐক্য ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। প্রকৃতপক্ষে আমরা আমাদের মায়ের মুখ থেকে যেই ভাষা এবং ভাষা বৈচিত্রের সাথে পরিচিত হই তাই আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষায় আমরা আমাদের মনের ইচ্ছা, প্রত্যাশা, ক্ষোভ, অঙ্গীকারসহ প্রমুখ অনুভুতি প্রকাশ করি। কেউ জন্মের পরে এই মাতৃভাষা শিখতে শুরু করে, আবার কেউ হয়তো জন্মের পরে একটি মাতৃভাষার জন্য লড়াইয়ের শুরু করে। ঠিক এমনই এক রক্তিম ইতিহাস এবং মাতৃভাষা অর্জনের গৌরবময় ঘটনা রয়েছে আমাদের বাঙালি জাতির। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এক বিদ্রোহের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সমাপ্তি হয় ১৯৫২ সালে। ইউনেস্কো যতোটা সহজে ২১শে ফেব্রুয়ারী-কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলো এই লড়াই ততোটা সহজ ছিলো না। বাংলার তৎকালীন দামাল ছেলেরা নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে বীরদর্পে সামনে এগিয়ে গিয়েছিলো নিজের অধিকার, নিজের ভাষার সম্মান রক্ষার্থে। পরবর্তীতে তাদের বুকের তাজা রক্তক্ষয়ী আন্দোলনই বপন করেছিলো বাংলার ও বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নের বীজ।

  • মো: মেরাজ হোসেন
  • শিক্ষার্থী, ২য় বর্ষ অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ।
  • গণ বিশ্ববিদ্যালয়।

ভাষার অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে

১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের আমাদের অধিকারের লড়াই শুরু হয়, যা পর্যায়ক্রমে দেশকে স্বাধীন করার আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার রাস্তায় নেমে এসেছিলেন তরুণ ছাত্ররা। পুলিশের লাঠি টিআরসেল নিক্ষেপকে উপেক্ষা করে চালিয়ে যায় ভাষার জন্য আন্দোলন, নিহত হয় নিরপরাধ বাঙালি যুবকেরা। বাংলার দামাল ছেলেদের এই আত্মত্যাগে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। প্রতিটি বাঙালির উচিৎ বাংলা ভাষার মান রক্ষার্থে ভাষার প্রতি যত্নশীল হওয়া। আমাদের উচিৎ মাতৃভাষা বাংলাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা। মাতৃভাষা বাংলার অপব্যবহার না করা। প্রতিটি বাঙালির উচিত মাতৃভাষাকে যথার্থ সম্মান দিয়ে বিশ্বের বুকে আরো সমৃদ্ধ করা।

  • রহিত কুমার সাহা অরিন
  • শিক্ষার্থী, ১ম বর্ষ, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ।
  • গণ বিশ্ববিদ্যালয়।

মাতৃভাষার শুদ্ধ চর্চা করতে হবে

একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটিতে আমরা ভাষাসৈনিকদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি, যারা আমাদের মাতৃভাষা রক্ষার জন্য জীবন দান করেছিলেন। এই দিনটি স্বাধীনতা, সমানতা এবং ভাষার মৌলিক অধিকারের উপর মনোনিবেশ করে। প্রতিবছর এই দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের মাতৃভাষা আমাদের মূল অধিকার এবং তা সম্পর্কে গর্ব করা উচিত। এটি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক পরিচয়ের অংশ হিসেবে পরিচিতি দেয়, যা আমাদের স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক আত্মবিশ্বাসের মৌলিক অংশ।

শোকবহ এ দিন আমাদের নতুন করে অনুপ্রেরণা দেয় মা,  দেশ ও মাতৃভাষাকে ভালবাসতে, শ্রদ্ধা করতে। বিনয়ের সাথে আকঁড়ে ধরে এর শুদ্ধ চর্চা করতে।

  • আরমান আহমেদ
  • শিক্ষার্থী, ৩য় বর্ষ, ফার্মেসী বিভাগ।
  • গণ বিশ্ববিদ্যালয়।

মাতৃভাষা মায়ের মমতায় ঘেরা

মাতৃভাষা আমাদের মৌলিক অধিকার। এ ভাষা আমাদের একান্ত নিজস্ব ও মায়ের থেকে পাওয়া। মায়ের মমতায় ঘেরা। যতবার এ ভাষার উপর অন্যায় হয়েছে ততবারই বাংলার দেশপ্রেমী সন্তানেরা ঝাপিয়ে পরেছে রক্ষার জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এখন ভাষার অপপ্রয়োগ হচ্ছে অনেক। ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে হবে। ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগ ভুলে যাওয়া যাবে না। বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য ও দেশকে মন উজাড় করে ভালবাসতে হবে

  • নাহিদ আঞ্জুম রহমান অর্পা
  • শিক্ষার্থী, ৩য় বর্ষ, ভেটিরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস অনুষদ।
  • গণ বিশ্ববিদ্যালয়।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD