‘আয়রে তোরা একসাথে, পিঠার মেলা সিটির মাঠে’ উপপাদ্যকে সামনে রেখে সিটি ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব-২০২৪।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক আয়োজনে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
গতবছর গুলোর তুলনায় এবছরের আয়োজনে ছিলো ভিন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের অংশগ্রহণে আয়োজিত হয় এবারের পিঠা উৎসব।
সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক বছর তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসকে প্রকৃতির রঙে সাজিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেয়। আর বাঙালির উৎসব মানেই পিঠা উৎসব অপরিহার্য।
এ উৎসবে শিক্ষার্থীরা নানা নামের বাহারি নকশার মুখরোচক পিঠা নিয়ে হাজির হন। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পুলি পিঠা, ললি পিঠা, বেনি পিঠা, কেক, পুডিং, নকশি পিঠা, রস পিঠা, সবজি পাকান, ছিটা রুটি, শামুক পিঠা, পাকান পিঠা, ভাপা পিঠা, কমলা সুন্দরী, তালের বড়া, নকশি পিঠা, সেমাই পুলি, ডিম পিঠাসহ আরো অনেক রকমের পিঠার আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা।
রঙিন সাজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সকলের উপস্থিতি পিঠা উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তুলে। সবার আপ্রাণ চেষ্টায় বছরের এই রঙিন উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে রঙ্গিন সাজে সেজে ওঠে স্টল গুলো।
শিক্ষার্থীরা খড়কুটো, রঙ্গিন মাটির হাঁড়ি, কুলো, বাঁশ, লতাপাতা সহ নানান সামগ্রী দিয়ে সাজিয়ে তোলে নিজ নিজ স্টল গুলো। স্টল গুলোর নামেও ছিলো ভিন্নতা। সুপ্রিম পিঠা ঘর, জিফান’স কিচেন, পল্লি কুঠির, চাষির পিঠাঘর, পিঠা Goriam, পিঠা ঘর, জুম ঘর, সুকণ্যার পিঠাঘর, পাশের দোকানে যাবেন না, ঐতিহ্য পিঠাঘর এমন আকর্ষণীয় নাম ছিলো স্টলগুলোর।
পিঠা উৎসবের আমেজ ব্যক্ত করে বলেন, ‘বসন্ত উৎসব এ নানান রকমের পিঠার সাথে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন রঙ্গিন সাজসজ্জা, বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি, নাচ, গানে দারুণ সময় কাটছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের দেশের ঐতিহ্য জেনে বড় হওয়া এবং অন্তরে দেশের প্রতি সম্মান আরো বেড়ে যায়’।
জিফান’স কিচেনের শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মানুষের সাথে প্রকৃতির নিবিড় যে সম্পর্ক তা তুলে ধরে ঐতিহ্যবাহী পিঠা পার্বণ। অন্যান্য বারের থেকে এই বছরের আয়োজন শিক্ষার্থীদের আরো বেশি আনন্দ দিয়েছে। আশাকরি কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর এমন আয়োজন করবে’।
উৎসবটি উদ্বোধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অধ্যাপক শাহাদাত কবির বলেন, ‘বাঙালির সংস্কৃতিকে লালনের দ্বায়িত্ব পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে পরার বড় ভূমিকা রাখছে বসন্ত উৎসব। আকর্ষণীয় স্টল আর বাহারি রঙ্গের পিঠায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে পিঠা উৎসব। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গন আরো রঙ্গিন হয়ে উঠেছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার (অব:) জেনারেল অধ্যাপক ড. মোঃ লূৎফর রহমান, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক কাজী শাহাদাত কাবির (পিএচডি) সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।