গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি, মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০২৩ সালের এই দিনে ৮১ বছর বয়সে পরপারে পারি জমান তিনি।
১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কর্ণফুলীর কোল ঘেঁষা এক সাধারণ গ্রামে জন্ম হয় এ দেশপ্রেমিকের। পরিবারে বড় ভাই নামে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পুলিশ কর্মকর্তা বাবা হুমায়ুন মোর্শেদ চৌধুরীর দশ সন্তানের মধ্যে সবার বড়। এই বড়ভাই-ই পরবর্তীতে হয়ে উঠে গরিবের ডাক্তার।
সাম্যবাদী চেতনার নায়ক জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও বসেননি চূড়ান্ত পরীক্ষায়। বিলেতে শিক্ষাধীন অবস্থায় দেশে যুদ্ধ শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে যুদ্ধে অংশগ্রহণের নিমিত্তে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন। পরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে ৪৮০ শয্যা বিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন যা স্বাধীন দেশে “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র” নামে যাত্রা শুরু করে।
যুদ্ধ পরবর্তী রাষ্ট্র বিনির্মাণে তিনি ছিলেন অগ্রণী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনার পাশাপাশি ১৯৮২ সালে ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ প্রণয়ন ও ঘোষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবদান রাখেন তিনি। মধ্যবিত্ত বাঙালির কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে।
এই মহান কিংবদন্তী ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১১টায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সমাহিত করা হয়।