সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) ১৫ জন শিক্ষক সিনিয়র প্রভাষক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন। ১৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের পদোন্নতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো: আতিকুর রহমান ও মো: রাসেল মিয়া, আইন বিভাগের তৌহিদা সরকার, ফার্মেসি বিভাগের মোছাঃ মাহফুজা খাতুন, মাহমুদুল ইসলাম, মো: আব্দুর রউফ, ইংরেজি বিভাগের আফরোজা সিদ্দিকা এবং বাংলা বিভাগের আতি-উন নাহার।
এছাড়াও পদোন্নতি পেয়েছেন ফলিত গনিত বিভাগের মালতি মজুমদার, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডা. রোকেয়া আহমেদ, রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের ড. মো: আলী আজম খান, মাহমুদা বেগম এবং মোহাম্মদ আসিফ চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের ড. শামিমা আক্তার এবং সমাজ বিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের মাহমুদুল হাসান।
সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষক ফলিত গণিত বিভাগের মালতি মজুমদার বলেন, ” ২০১৫ সাল থেকে আমার কর্মজীবন শুরু। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু বাধা-বিপত্তির কারণে আমার প্রথম পদোন্নতি পেতে বিলম্ব হলেও বর্তমান প্রশাসনের প্রচেষ্টায় এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে। এই পদোন্নতি আমার কাছে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। আসলে, কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করছে, যা যথার্থই প্রশংসনীয়।”
শিক্ষদের পদোন্নতি বিষয়ে রেজিস্ট্রার জানান, “চারটি ধাপে পদোন্নতি দেওয়া হয় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে কিছু মানদন্ড অতিক্রম করতে হয়। এবার যারা পদন্নোতি পেয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করেছেন এবং ৪ টা পাব্লিকেশন আছে তবে অনেকেই ৩ বছর দায়িত্ব পালন করছেন কিন্তু পাব্লিকেশনের অভাব আবার কারো পাব্লিকেশন থাকলে মেয়াদ পূর্ণ করেন নাই, তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না।”
উপাচার্য ড. মো: আবুল হোসেন বলেন, “পদোন্নতি হলো একটি স্বাভাবিক ও নিয়মিত প্রক্রিয়া। ট্রাস্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যোগ্যদের উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো, পদোন্নতির ধাপগুলি আগের ৮টি থেকে কমিয়ে বর্তমানে ৪টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে যা প্রক্রিয়াটিকে আরও সুসংহত ও কার্যকর করেছে।”