
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে মানহানি এবং দাপ্তরিক কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে কথিত সাংবাদিক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয়ধারী এই ব্যক্তি এখন সাংবাদিকতার আড়ালে ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাবাজিতে জড়িত।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আগে তিনি ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের নেতা মিজান–মহিউদ্দিন গ্রুপের অনুসারী ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে অধিদপ্তরে নিয়মিত যাতায়াত করছেন সেই সাথে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দাবি পূরণ না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের হুমকি দেন তিনি।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, মেহেদী হাসান এখন সাংবাদিক পরিচয়ে নিয়মিত অফিসে আসেন। নানা ধরনের অবৈধ কাজ বৈধতা দিয়ে দিতে বলেন। তার দাবি পূরণ না করলে পরদিন অনলাইন নিউজপোর্টালে আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এতে আমাদের পেশাগত মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমাদের দিয়ে তার কথা মতো কোনো বিষয় না করে দিলে তিনি এগুলো করেন।
অন্য এক কর্মকর্তা জানান, তিনি ছাত্রলীগের সময়কার পরিচয় ব্যবহার করে একসময় ভয় দেখাতেন। এখন আবার তার কোনো অবৈধ কাজ না করে দিলে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ব্ল্যাকমেইল করছেন। এতে পুরো অফিসে খারাপ প্রভাব পড়ছে।
অভিযোগ রয়েছে, মেহেদীর ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং বিএনপি-সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধেও মেহেদী মনগড়া তথ্য ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দেন বলে জানা গেছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এই চাঁদাবাজ সাংবাদিক নামধারী ছাত্রলীগের ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা শিগগিরই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন জানাবেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ব্যক্তি অফিসে প্রবেশ করে কর্মকর্তাদের হয়রানি বা ব্ল্যাকমেইল করতে না পারে।