প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৬ নভেম্বর মিসরের শারম আল- শেখে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলন কপ-২৭। দুই সপ্তাহব্যাপী ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনটি শুরু হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সাথে সম্পর্কিত ক্রমবর্ধমান ক্ষতির জন্য দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি সমঝোতার মধ্য দিয়ে।কয়েক দশক আগে জলবায়ু আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে এবার প্রথমবারের মতো বিতর্কিত বিষয়কে আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়েছে। মিসরের সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর শারম আল- শেখে সম্মেলনে বিশ্বনেতারা ইউরোপে স্থলযুদ্ধ থেকে শুরু করে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি প্রভৃতি সংকটের মধ্যেও বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাবগুলো এড়ানোর লক্ষ্যকে বাঁচিয়ে রাখার আশা করছে। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই বিষয়ে আলোচনাকে এড়িয়ে আসছিল ধনী দেশগুলো। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কপ-২৭ প্রেসিডেন্ট সামেহ শুকরি সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করার সময় বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতির মুখে পড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো ধনী দেশগুলোর কাছে যে ক্ষতিপূরণ চাইছে, সে বিষয়টি আলোচনার সূচিতে রাখতে সম্মত হয়েছেন প্রতিনিধিরা।’সামেহ শুকরি আরও উল্লেখ করেন, ‘যদিও জলবায়ু তহবিল ব্যবস্থা করার জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনার স্থান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, তবে এ বছরের সম্মেলনে লোকসান ও ক্ষতিপূরণের আলোচনা থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিশ্চয়তা মিলবে না। ২০২৪ সালের দিকে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে।’জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কার্বন নিঃসরণ অন্যতম প্রধান কারণ। ফলে কম কার্বন নিঃসরণ করার পরও ক্ষতির মুখে পড়া দেশগুলোকে অধিক কার্বন নিঃসৃত করা দেশগুলো ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণের অর্থ তাৎপর্যপূর্ণ; কিন্তু এত বছর ধরে ক্ষতিপূরণ প্রদানের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে সোচ্চার দাবি উঠেছে।কয়েক দশক আগে জলবায়ু আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে এবার প্রথমবারের মতো বিতর্কিত বিষয়কে আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়েছে। মিসরের সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর শারম আল- শেখে সম্মেলনে বিশ্বনেতারা ইউরোপে স্থলযুদ্ধ থেকে শুরু করে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি প্রভৃতি সংকটের মধ্যেও বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাবগুলো এড়ানোর লক্ষ্যকে বাঁচিয়ে রাখার আশা করছে। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই বিষয়ে আলোচনাকে এড়িয়ে আসছিল ধনী দেশগুলো। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কপ-২৭ প্রেসিডেন্ট সামেহ শুকরি সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করার সময় বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতির মুখে পড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো ধনী দেশগুলোর কাছে যে ক্ষতিপূরণ চাইছে, সে বিষয়টি আলোচনার সূচিতে রাখতে সম্মত হয়েছেন প্রতিনিধিরা।’
সামেহ শুকরি আরও উল্লেখ করেন, ‘যদিও জলবায়ু তহবিল ব্যবস্থা করার জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনার স্থান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, তবে এ বছরের সম্মেলনে লোকসান ও ক্ষতিপূরণের আলোচনা থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিশ্চয়তা মিলবে না। ২০২৪ সালের দিকে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে।’জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কার্বন নিঃসরণ অন্যতম প্রধান কারণ। ফলে কম কার্বন নিঃসরণ করার পরও ক্ষতির মুখে পড়া দেশগুলোকে অধিক কার্বন নিঃসৃত করা দেশগুলো ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ক্ষতিপূরণের অর্থ তাৎপর্যপূর্ণ; কিন্তু এত বছর ধরে ক্ষতিপূরণ প্রদানের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে সোচ্চার দাবি উঠেছে।২০২০ সালের মধ্যে প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতিপূরণ তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ধনী দেশগুলো। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তারা মাত্র ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। এদিকে অস্ট্রেলিয়া আর কানাডা তাদের প্রতিশ্রুত অর্থের মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ প্রদান করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যও এখনো এক-তৃতীয়াংশ অর্থও প্রদান করেনি।
বাংলাদেশভিত্তিক পরিবেশবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এজেন্ডায় থাকাকে দারুণ সংবাদ বলেছে। ৫৮টি দেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরাম গ্রুপের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা সংস্থাটির পরিচালক সলিমুল হক উল্লেখ করেছেন, ‘এখন প্রকৃত কাজ হলো অর্থায়নকে বাস্তবে পরিণত করা।’গত সপ্তাহে প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নির্গমন ১০.৬% বৃদ্ধি পাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় বিজ্ঞানীরা ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এই নির্গমন ৪৩% হ্রাস করে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে সীমাবদ্ধ করতে বলেছেন।ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক পতন থেকে তাদের নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর বাজেটে যেহেতু বিপুল ব্যয় সাধন হবে, ফলে জ্বালানিজনিত দুর্যোগ বৃদ্ধির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি মোকাবিলায় গতি বৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও কপ২৭ নগদ অর্থ সংগ্রহের জন্য প্রবল ঝক্কির সম্মুখীন হতে পারে।এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি ছোট দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি মোকাবিলার জন্য অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে। ডেনমার্ক ১০০ মিলিয়ন ডেনিশ ক্রাউনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং স্কটল্যান্ড ২.২৮ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।এদিকে কিছু গবেষণা বলছে- জলবায়ু সম্পর্কিত ক্ষতি ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৫৮০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারে।