ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২৪ ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলনের আগেই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। সম্মেলনকে সামনে রেখে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন পদ প্রত্যাশীরা। প্রথমদিকে ছাত্রলীগের এইবারের সম্মেলন একদিনের করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে দুইদিন করার সিদ্ধান্ত হয়।আওয়ামী লীগের সূত্রে জানাজায়, ঘোষণা অনুযায়ী, এবারের সম্মেলন ৮ ও ৯ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও সম্মেলন দু’দিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তবে এর আগে ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এমন পরিস্থিতিতে সম্মেলনকে ঘিরে সরব ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের সাংগঠনিকভাবে সক্ষমতা ভালো, জনপ্রিয়তা রয়েছে, ক্লিন ইমেজ, পরিবারের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই, অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী তারাই আগামীতে নেতৃত্বে আসবে। পাশাপাশি যারা মানবিক কাজ করে আলোচনায় আসতে পেরেছেন, এমন ছাত্রনেতারাও এগিয়ে থাকবেন। আরো কয়েকজন নেতা দলে অনুপ্রবেশকারী ঠেকানোর ওপর গুরুত্ব দেন।মধুর কেন্টিনে ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় শাখা ছাত্রলীগের ও ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের যৌথ সম্মেলন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।পাশাপাশি সম্মেলনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কমিটিতে জায়গা করে নিতে প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি নানা জায়গায় যোগাযোগ করছেন তারা।মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের মহানগর ছাত্রলীগের উত্তর-দক্ষিণে শীর্ষ পদে পেতে সব মিলিয়ে পদপ্রত্যাশীদের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। তবে যোগ্যতা, সাংগঠনিকভাবে সক্ষমতা, ক্লিন ইমেজ এমন অনেক ধাপ বিবেচনা ও যাচাই-বাছাই করেই মূলত দলের শীর্ষস্থানে দায়িত্ব দেওয়া হবে।নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা মধ্যে এগিয়ে আছেন- ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান খান প্রান্ত, বর্তমান কমিটির প্রচার সম্পাদক- জুয়েল পোদ্দার রানা, সহ-সম্পাদক সৈয়দ আদনান শান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন মিঠু, কাজী মিজান, আসাদুজ্জা আল গালিব (মিরপুর কলেজ সভাপতি), আকরাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে আলোচনায় রয়েছে রায়হান পারভেজ, তরিকুল ইসলাম রাহুল, সুলাইমান ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশিক ইকবাল।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী সালমান খান প্রান্ত বলেন, ‘দলের জন্য ছাত্রলীগের জন্য সবসময় কাজ করেছি ভবিষ্যতেও করব। যতদিন বেঁচে আছি, দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’ নেত্রী যা ভাল মনে করেবেন আমরা সবাই সে সিদ্ধান্তই মেনে নিব।তবে মহানগর উত্তরের বর্তমান কমিটিতে কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে চাদাবাজি, রাজধানীর ধানমণ্ডি ও জিগাতলায় ভবনের স্পেস দখল করে নিজস্ব রাজনৈতিক অফিস করা, রেস্তোরাঁ দেওয়া, পার্কিং দখল করে টাকা আদায়সহ রয়েছে নানা অভিযোগ। তাই এমন অভিযোগকে বিবেচনায় নিয়ে শীর্ষ দুই পদে যেই আসুক ক্লিন ইমেজ ও সৎ পদপ্রত্যাশীদেরই সামনে রাখার দাবি জানিয়েছে পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতারা।এদিকে দক্ষিণ ছাত্রলীগ শীর্ষ দুই পদ পেতে মরিয়া, দক্ষিণ ছাত্রলীগ সহ সভাপতি আহসান হাবীব হাসান, ফজলুল করিম মিরাজ, মেজবাহ উদ্দিন পাভেল, বারেক হোসাইন আপন, ইয়াসিন আরাফাত, হাসিবুল আলম পুলক, রফিকুল ইসলাম রাসেল, সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, রিয়াজ মোল্লা, নুরুদীন হাওলাদার, মাজেদুল মোল্লা মিন্টু, আল-নোমান সরকার অনিকসহ অনেকে।