আর্কটিক অঞ্চল থেকে ধেয়ে আসা তীব্র শীতকালীন ঝড়ে নাকাল যুক্তরাষ্ট্র। এতে ৭ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এছাড়া তাপমাত্রাজনিত গাড়ি দুর্ঘটনায় ইতোমধ্যে ১৬ জনসহ মোট ২২ জন প্রাণ হারিয়েছে। অন্যদিকে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে দেশটিতে প্রতিদিন কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। খবর-রয়টার্স।যুক্তরাষ্ট্রে ‘বোম্ব সাইকোলন’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই তুষারঝড়টি গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ৩ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ, এতে আটকা পড়েন হাজার হাজার যাত্রী।ঝড়টি অনেকটাই ঘূর্ণিঝড়ের তেজ নিয়ে পূর্ণমাত্রায় নিউইয়র্কের বাফেলো শহরে আঘাত হানে। এতে পুরো এলাকা সাদা চাঁদরে ঢেকে যায়। ফলে জরুরি অভিযান বাঁধার সম্মুখীন হয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা অঙ্গরাজ্য তুষারপাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। মিনেসোটা, আইওয়া, উইসকনসিন এবং মিশিগানেও প্রায় একই অবস্থা। পথ-ঘাট বরফের স্তূপে যান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বহু গাড়ি। দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে ফ্লোরিডা ও জর্জিয়াতে সতর্ক করা হয়েছে।হু হু করে নামতে থাকা তাপমাত্রায় ঘর উষ্ণ রাখার চাহিদা বাড়ছে; এর সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ক্ষতি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই বিদ্যুৎব্যবস্থার ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালের দিকেও দেশটির ১৮ লাখ ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন ছিল, পরে ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।শনিবার বিকালে ডিউক এনার্জি জানায়, তারা নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনাজুড়ে একেক জায়গায় একেক সময়ে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার সকাল থেকে যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় এখন তা আর করা লাগছে না।