বাঙালির গর্ব পদ্ম সেতু। তাই পশ্চিমবঙ্গও যেন সেতুর উদ্বোধনে উচ্ছ্বসিত। পুরো বাংলাদেশের পাশাপাশি স্বপ্নের এই সেতু উদ্বোধনে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোও। লক্ষ্য করা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দবাজার তাদের ফেসবুকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠান সরাসরি দেখাচ্ছে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন। এরইমধ্যে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরইমধ্যে আনন্দবাজারের ফেসবুক পেজে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের লাইভের ভিডিওতে এক হাজার ৪০০-এর বেশি রিঅ্যাক্ট ও ৩০০-এর বেশি মন্তব্য পড়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, পদ্মা সেতু শুধু কলকাতা-ঢাকার দূরত্ব কমাবে তাই নয়, পদ্মা সেতুর ফলে বঙ্গোপসাগর তীরের মংলা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব একশো কিলোমিটার কমে যাবে। সংশ্লিষ্ট বন্দর দুটিকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ফলে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে ভারতের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ সুগম হবে। দুই দেশই আশা করছে, শেখ হাসিনার সফরের আগেই ভারত-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। পদ্মা সেতু দুই দেশের বাণিজ্যেও নতুন সেতুবন্ধন করবে।
পত্রিকাটি আরো জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর ফলে যাতায়াতের অনেকটা সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা থেকে বাসে ঢাকায় আসতে হলে কিছুদিন আগেও পদ্মা পার হতে স্টিমারের প্রয়োজন হতো। পদ্মা সেতু চালু হলে সড়ক পথেই সরাসরি ঢাকায় পৌঁছনো যাবে। কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব অন্তত ৫০ শতাংশ কমে যাবে। আগে কলকাতা থেকে ঢাকা, ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগত ১০ ঘণ্টা। এখন তা মোটামুটি চার ঘণ্টায় হয়ে যাবে। আর রেলপথে পৌঁছতে সময় লাগবে মোটামুটি সাড়ে ছয় ঘণ্টা। সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই শেখ হাসিনা ভারত সফরে যেতে পারেন এই পদ্মা সেতু দিয়েই।