বরগুনা আমতলী উপজেলার ৩ নং আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গেরাবুনিয়া গ্রামে বিষ প্রয়োগে লক্ষাধিক তরমুজ চারা মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের গেরাবুনিয়া গ্রামের আবদুল মজিদ শিকদারের ছেলে আলাম শিকদার (৫৫), কাঞ্চন বাড়িয়া গ্রামের কালু মীরার ছেলে জলিল মীরা (৫০), আলগী গ্রামের কাঞ্চন আলী শিকদারের ছেলে মাসুম শিকদার (৩০), চালিতা বুনিয়া গ্রামের রশিদ শিকদারের ছেলে আইয়ুব শিকদার (২৮) ও গেরাবুনিয়া গ্রামের নয়ন খানের ছেলে মনির খান (৫০) মিলে বিভিন্ন এনজিও থেকে চরা সুদে ঋন নিয়ে অন্যের কাছ থেকে প্রায় ৩০ একর জমি চুক্তিতে লিজ নিয়ে চলতি মৌসুমে তরমুজ চাষ করার উদ্যোগ নিয়ে নয়ন খানের বাড়ির দক্ষিণ পাশের বিলে তরমুজ চারার নার্সারি করেন।নার্সারিতে জন্মানো তরমুজের লক্ষাধিক চারা গাছ গত রবিবার গভীর রাতে একই এলাকার সাহা আলম সিকদার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিষ প্রয়োগ অথবা অথবা লবণ পানি ছিটিয়ে চারাগুলো মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মাসুম শিকদারের ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে আলাম শিকদারকে তার ভাই শাহ আলম শিকদার আমার সামনেই মারধর করে উল্টো ধান কাটার অভিযোগে করে পুলিশ নিয়ে আসে। ঐ ঘটনায় আমি আলাম শিকদারকে তার ভাই শাহ আলম শিকদার কর্তৃক মারধরের কথা পুলিশকে বলায় ঐ দিনই শাহ আলম শিকদার আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার দুই দিনের মধ্যে আমার ভাই মাসুমসহ সকল কৃষকদের রোপণের জন্য জন্মানো তরমুজ চারা গাছ গুলো মেরে ফেলেছে, শাহ আলম শিকদার ও তার ছেলে মঞ্জু শিকদারই এই ঘটনা ঘটাইছে, আমি এই ঘটনায় ন্যায় বিচার চাই।এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম শিকদার বলেন, আমি কেন তরমুজ চারা নষ্ট করবো, আমিও একজন কৃষক, আমার ক্ষতি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।তবে এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আঠারগাছিয়া ইউনিযন পরিষদ কার্যালয়ে সালিস বৈঠক হয়।সালিশ বৈঠকে সাক্ষ্য প্রমানে সাহা আলম সিকদার দোষী প্রমানিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম স্থানীয় ইউপি সদস্যদের ও দুপক্ষের উপস্থিতিতে সাহা আলম সিকদারকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।অপর অভিযুক্ত মঞ্জু শিকদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে বসে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে চেয়ারম্যান আমাদেরকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করছে।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মাসুম শিকদার বলেন, আমরা চেয়ারম্যান সাহেবের বিচারে সন্তুষ্ট, তিনি ন্যায় বিচার করেছেন।ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন সালিস বৈঠকের কথা স্বিকার করে বলেন বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।