সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রতিহত করতে বিশেষ ফৌজদারি অপরাধের বিধান থাকা দরকার বলে মনে করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুকে পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।রোববার অনুষ্ঠিত ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় অনুভূতি ও সংবেদনশীলতাকে ক্ষুণ্ন করেছে। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার দিনভর শিক্ষা প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সব জায়গায় এটিই ছিল আলোচনার বিষয়।মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নে যে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক উদ্দীপক দেওয়া হয়েছে, এটি নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে আমরা দেখছি কোন প্রশ্নকর্তা এমন কাজটি করেছে। যেহেতু প্রশ্ন তৈরির বিষয়টি একেবারেই গোপনীয় থাকে, এবং কয়েকটি সেট থেকে লটারির মাধ্যমে নেওয়া হয়ে থাকে, এটি আগে থেকে বোর্ড কর্তৃপক্ষ বা অন্য কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয়, প্রশ্ন জানতে পারলে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।তার দাবি, বিদ্যমান ব্যবস্থায় ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি কম, তবে প্রশ্ন প্রস্তুতকারির ব্যক্তিগত সাম্প্রদায়িক মানসিকতার প্রতিফলন থেকেই এ ধরনের প্রশ্ন ঢুকেছে, এটি মোটামুটি পরিস্কার। আমাদের সমাজের নানান জায়গায় সাম্প্রদায়িক লোকগুলো তাদের অপকীর্তি গুলো চালিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষকদের মধ্যেও যে তারা নেই, তা কিভাবে সম্ভব? সেখানেও তারা আছে। তদন্তের পরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অবশ্যই হবে, তবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি প্রতিহত করতে বিশেষ ফৌজদারি অপরাধের বিধান থাকা দরকার।আগামী দিন গুলোতে এরা আরো অনেক সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র করবে এবং ধীরে ধীরে সমাজকে অসহিষ্ণু এবং সংঘাতপূর্ণ করার চেষ্টা করবে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প রুখতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং ধর্মীয় সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়মিত করা প্রয়োজন। দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছু তথাকথিত প্রগতিশীলরাও ইদানীং সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির আশ্রয়ে আসছে বা তাদের সাথে বেশ শক্তিশালী আঁতাত এবং আপোষ করছে।