রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জট খুলেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে /

কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জট অবশেষে খুলেছে, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে কালুরঘাট সেতু সংস্কার নিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেতু কীভাবে সংস্কার হবে, কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে- তা ঠিক করতে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল কাজও শুরু করে দিয়েছেন। আগামী ৫/৬ মাসের মধ্যে সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ করবেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যথাসময়ে ট্রেন চালু করতে পুরনো কালুরঘাট সেতুর ওপরই আস্থা রাখতে হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে গত বছরের ৯ অক্টোবর বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এএফএম সাইফুল আমিন, অধ্যাপক খান মাহমুদ আমানত ও আবদুল জব্বার খান কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা কালুরঘাট সেতুর বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি চিহ্নিত করেন।পুরো সমীক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল রেলওয়ের কাছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দাবি করেন। সমীক্ষা ফি নিয়ে দুই পক্ষের দর-কষাকষিতে কালুরঘাট সেতু সংস্কারে জট তৈরি হয়। একাধিক বৈঠক শেষে চলতি বছর ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকায় এই সেতু সংস্কারের সমীক্ষা করতে রাজি হয় বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল। সেপ্টেম্বরে ঢাকায় বুয়েট বিশেষজ্ঞ দল এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। গত ৪ অক্টোবর বুয়েটের অধ্যাপক এএফএম সাইফুল আমিনের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল কালুরঘাট সেতু ফের পরিদর্শন করেন।এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে চুক্তির পর গত ৪ অক্টোবর বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করেছেন এবং তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে আর চুক্তি অনুযায়ী ৫/৬ মাসের মধ্যে কালুরঘাট সেতু সংস্কারের সমীক্ষা বিশেষজ্ঞ দল প্রতিবেদন জমা দিলে আমরা সংস্কার কাজের টেন্ডার আহ্বান করব।নকশা ও অর্থায়ন নিয়ে জটিলতা থাকায় নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ শুরু করতে আরও সময় লাগবে। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে ১০ টন এক্সেল লোডবিশিষ্ট ছোট লোকোমোটিভ চলাচল করে। এখন কালুরঘাট সেতুর গার্ডার ও অন্যান্য অবকাঠামো সংস্কার করে ১৫ টন এক্সেল লোড বিশিষ্ট লোকোমোটিভ ব্যবহার করতে চায় রেলওয়ে। যা দিয়ে আগামী বছর কক্সবাজার যাবে দ্রুতগতির ট্রেন।চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে এখন পর্যন্ত বসেছে ৫৩ কিলোমিটার। কক্সবাজার অংশে ৪১ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম অংশে ১২ কিলোমিটার। পুরো রেললাইনজুড়ে কক্সবাজার অংশের কাজের অগ্রগতি বেশ ভালো। এই অংশের কাজ করছে ম্যাক্স গ্রুপ। কক্সবাজার অংশের কাজ প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হচ্ছে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। অত্যাধুনিক অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকবে এই রেলস্টেশনে।সামনে অংশে তৈরি হবে বিশাল আকৃতির ঝিনুকের ফোয়ারা। ঝিক ঝিক শব্দ করে ট্রেন আসার পর যার পাশ দিয়ে প্রবেশ করতে হবে স্টেশনে। তার পর চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে সেতু হয়ে চড়তে হবে ট্রেনে। গাড়ি পার্কিংয়ের থাকবে ৩টি জায়গা। স্টেশন ভবনে থাকবে অত্যাধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। পর্যটকরা চাইলে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজার পৌঁছে মালামাল স্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা পর্যটন স্পট ঘুরে রাতে ফিরে যেতে পারবেন। এই স্টেশনে প্রতিদিন ৪৬ হাজার যাত্রী গমন ও ৪৬ হাজার যাত্রী বহির্গমন করতে পারবে।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD