পুরো সিলেটবাসী এখন বন্যাকবলিত। চারিদিকে থৈ থৈ করছে পানি। লোকালয় এখন বিপর্যয়ের মুখে। আশ্রয়কেন্দ্রে খেয়ে না খেয়ে কাটছে বানবাসী মানুষের জীবন। এ সময়ে সাভারের ভাকুর্তা থেকে প্রায় দেড় হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌছান ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লিয়াকত হোসেন।
গত বুধবার (২২ জুন) সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের মানবদরদী চেয়ারম্যান সিলেটের প্রত্যন্ত এলাকার বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল বাতে। তারা একটি দলকে সাথে নিয়ে সেসব এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন যেখানে পৌছানো ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং।
প্রায় দেড় হাজার পরিবারের জন্য নিয়ে যাওয়া এ ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল আধা কেজি বিস্কুট,এক কেজি চিড়া, এক কেজি গুড়, চিপস,পানি, মোমবাতি এবং দিয়াসলাই।
ত্রাণ সংগ্রহের জন্য এক পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে আসে ১০ বছর বয়সের শাহীন, হাতে খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিস পেয়ে অঝোড়ে কান্না করে সে। অনন্ত তিন থেকে চার দিন যাবৎ অনাহারে কাটছে এই শিশুসহ তার পুরো পরিবারের। সে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বলে, সে কোনোদিন কল্পনাও করেনি এতদূর থেকে কেউ ফেরেশতার মত হাজির হয়ে তাদের আহারের যোগান দিবে।
সেখানেই ত্রাণ নিতে আসা মধ্য বয়স্ক আমেনা বেগম ত্রাণ পেয়ে বলেন, ভেবেছিলাম পরিবারসহ না খেয়ে মারাই যাব। আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র অনেকটা ভিতরে পরে যাওয়ায় এইখানে অন্যান্য সহায়তাকারীরা তেমন আসেনি কিন্তু ওনারা আসায় আমাদের আর অভুক্ত থাকা লাগবে না।
এবিষয়ে ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সিলেটের বন্যার্তদের দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা করে আমার যত দ্রুত সম্ভব হয়েছে একটি দল নিয়ে সিলেটে ত্রাণ নিয়ে গিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি একটু প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌছে দেয়ার যেখানে বানবাসীদের মাঝে সহজে পৌছানো যায় না।
প্রত্যন্ত এলাকার বানবাসীদের হাতে ত্রাণ পৌছাতে ভাকুর্তা থেকে আসা দলটিকে মুখোমুখিও হতে হয়েছে বেশ চ্যালেঞ্জের তবুও তিনি ও তার দলটি সব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে পিছ পা হননি বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে বলে জানান তিনি।