সাভারে চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে মনির হোসেন (১৪) নামে এক পথশিশুকে হাত-পা বেঁধে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মার্কেট মালিক ও দিলখুঁশাবাগ এর বাসিন্দা মৃত আব্দুস সামাদ এর ছেলে নাসিম ইকবাল (৬৫) ও একই এলাকার বাসিন্দা মৃত সাহেব আলীর দুই ছেলে ব্যবসায়ী তোফাজ্জল (৫০) ও ইউনুস (৫৫) এর বিরুদ্ধে।
এঘটনা ঘটার প্রায় ৭ ঘন্টা পর জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে গতকাল দুপুরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী পথশিশুকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে যায় সাভার মডেল থানা পুলিশ।
সাভার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার ভোর রাতে সাভার বাসস্ট্যান্ডে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে পথশিশুটির হাত-পাঁ দড়ি দিয়ে বেঁধে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় রড ও বাঁশ দিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা।
জোরপূর্বক চুরির শিকারোক্তি নিতে শিশুটিকে মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় নির্যাতন চালানোর সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিশুটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করেন। এসময় মারধরের সাথে জড়িত নাসিম ইকবালসহ অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানান মানুষকে মারধরের একাধিক অভিযোগও রয়েছে।
আহত শিশু মনির হোসেন বলেন, তার বাবা নেই পরিবারের অন্য সদস্যরা জামসিং নবীন মার্কেট এলাকায় বসবাস করে। সকালে সে সামাদ মার্কেটে গেলে চুরির অভিযোগে তাকে তিনজন নাসিম ইকবাল, তোফাজ্জল ও ইউনুস মারধর করেন।
তারা দড়ি দিয়ে হাত ও পা বেঁধে জোরপূর্বক চুরির স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য মার্কেটের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে রড, বাঁশ ও লাঠি দিয়ে কয়েক দফায় মারধর করে।
সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিকদার হারুন-উর-রশিদ এ বিষয়ে বলেন, আমরা জরুরী সেবা নাম্বারে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই।
এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় পথশিশু মনির হোসেনকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।