বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসতেছে, সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র আসতেছে। একটা কথা বলতে চাই, এতোদিন সহ্য করেছি, আর না। শেখ হাসিনার কিছু হলে এ দেশ বসবাসের যোগ্য থাকবে না বলে জনিয়েছেন আওয়ামী লীগের নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিক এ কে এম শামীম ওসমান।
মঙ্গলবার সকালে সবুজবাগ এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, জনগণের কাছে মাফ চান, আমরা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছি আপনাদের কাছে মাফ চাই। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, ভালো ভালো কথা বলেন, ভালো কথা বলে মানুষের কাছে ভোট চান। ভোটে আসেন ক্ষমতায়, কোনো আপত্তি নেই কিন্তু যদি অন্য পথে আসতে চান, লাভ হবে না।
তিনি বলেন, যারা আমার বঙ্গবন্ধুকে মারলো, ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটালো, যারা রাজনীতির নামে মানুষকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারলো, সারা বাংলাদেশে একসঙ্গে বোমা হামলা করল, বিদেশ থেকে জাহাজ ভরে অস্ত্র নিয়ে এলো, কোর্টের ভেতরে ঢুকে জজ সাহেবকে মারলো, সাংবাদিকদের মারলো, এমনকি বোবা প্রাণী গরু ট্রাকের ভেতরে পুড়িয়ে মারলো; তাদের সঙ্গে গণতন্ত্রের চর্চা করবো?
আদর্শের জন্য রাজনীতি করতে এসেছি। সেই কারণে কী পেলাম, কী দিলাম সেটা আমার দেখার বিষয় না। মৃত্যুর পরে আল্লাহর কাছে চলে যাব, দুনিয়াতে আমার কাছে সবচেয়ে বড় আমার দেশ। এবার যে খেলাটা হচ্ছে, আমার কথা হালকাভাবে নিয়েন না। আমি কাল মরে যেতে পারি। দেশটাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওরা মানতে পারেনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা। শেখ হাসিনার যদি কিছু হয়, এই দেশ আর বসবাসের যোগ্য থাকবে না। আপনার আপন ভাই বিএনপি-জামায়াত করে, তাতেও লাভ হবে না, দলের কর্মীদের সঙ্গে বলেন শামীম ওসমান।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আন্দোলন করেন, ভোট চান, ক্ষমতায় আসেন কিন্তু আবার যদি কেউ ভাবেন ১৫ আগস্ট, আবার ২১ আগস্ট, আবার জ্বালাও-পোড়াও? এবার আর জাতির পিতার কন্যার কথা শুনবো না। শুনবো না কারণ এরা আমার দেশকে মারতে আসছে। বাইরে থেকে টাকা আসছে, কোত্থেকে আসছে তাও জানি। যারা টাকার ব্যবস্থা করছে তারা কোন দেশে তাও জানি। জানি জন্য মাথার রক্ত গরম হয়ে যায়। বিভিন্ন কারণে জানতে পারি। খোঁজ-খবর নিয়ে রাজনীতি করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসতেছে, সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র আসতেছে। একটা কথা বলতে চাই, এত দিন সহ্য করেছি, আর না। ছাড় হবে না। ২০২৪-এর জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, ক্ষমতায় শেখ হাসিনাই থাকবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন।