বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ অপরাহ্ন

এআইআইবির ৪০ কোটি ডলারের ঋণ নিয়ে জটিলতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে /

অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনার জন্য এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া ৪০ কোটি ডলার কোন খাতে ব্যবহার হবে- তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোভিড নিয়ন্ত্রণে আসায় এখন তহবিলটি নিস্ক্রিয় রয়েছে। ফলে অর্থ মন্ত্রণালয় এই অর্থ চলতি অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট ঘাটতি পূরণে ব্যবহার করতে চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে যেহেতু এআইআইবি থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য আনা হয়েছে। তাই ঋণের এ অর্থ তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ব্যয় করতে চায়।

ঋণের অর্থ ব্যবহারে পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন যুক্তি দিয়েছেন, তার মন্ত্রণালয় থেকে ঋণের টাকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে ব্যবহার করার জন্য একটি প্রস্তাব পাস করেছে।

সম্প্রতি তিনি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালনার জন্য আমাদের এক হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। আর তা ঋণের এই অর্থ থেকে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় ৪০ কোটি ডলারের ওই ঋণের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক পর্যায়ে পৌঁছেছিল।

সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এম জসিমউদ্দিন খান বলেন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উপহার হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু পরিমাণ ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছেছে।

সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এআইআইবিকে জানানোর কথা যে বাংলাদেশ সরকারের এখনই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনার প্রয়োজন হবে না। এআইআইবি বলেছে যে তহবিলটি এডিবির মতো সহযোগীদের সাথে বাজেট সহায়তা হিসেবে দেবে।

সভায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) উপসচিব কাওসার জাহান বলেন, বর্তমান বাজেটে সহায়তার জন্য ও এ তহবিল ব্যবহার করার জন্য সহ-অর্থদাতা প্রয়োজন।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD