পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার সব পেশার লোকই মাদকে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত গোলটেবিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশে জেলখানার ক্যাপাসিটি আছে ৪১ হাজার প্লাস। কিছুদিনের মধ্যে এটা আরো বাড়বে। কিন্তু সবসময় ৮০ হাজার থেকে এক লাখের বেশি কয়েদি থাকে। এরমধ্যে ৬০ শতাংশই মাদক ব্যবসায়ী।তিনি বলেন, বিচারের সময় সাক্ষী পাওয়া যায় না। আর আমাদের লম্বা জট লেগেছে মামলার। সেখানে এই মাদক মামলা হারিয়ে যায়। আমরা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল চেয়েছিলাম মাদক মামলার জন্য, যদিও আমরা সেটা এখনো পাইনি। যদি শাস্তিটা দৃশ্যমান হতো তাহলে ডিমান্ড হ্রাস ও সাপ্লাই কমে যেত।
দেশে মাদক প্রবেশ বন্ধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের সাপ্লাই কমাতে বিজিবি, কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা ও জনবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বর্ডারে আমরা এখন অনেক কিছু করছি। টেকনাফে দেখেন নাফ নদীর যে বর্ডার তা দুর্গম। সেখানে বিওপি থেকে বিওপি যেতে সময় লাগে। আমরা সেন্সর লাগাচ্ছি সমস্ত বর্ডারে। হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করছি, যাতে মাদকের সাপ্লাই বন্ধ করা সম্ভব হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে ৬০ থেকে ৭০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। আমাদের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে অভিজ্ঞ ডাক্তার নেই, সাইক্রিয়াটিস্ট নেই। তেজগাঁও সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের কেউ যায় না। বেসরকারি খাতে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র চালুর জন্য সরকারিভাবে সহায়তা করার আশ্বাস দেন তিনি।
মাদকের সাথে পুলিশের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। পুলিশে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। পজিটিভ হলে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার সব পেশার লোকই মাদকে জড়িত। আমাদের লোকও আছে। পুলিশ ধরা পড়লে শাস্তি মুখোমুখি হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়ে ২০০ বেডের মাদক নিরাময় হাসপাতাল হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় চিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী, আমলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্তাসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।মাদকের সাথে পুলিশের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। পুলিশে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। পজিটিভ হলে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার সব পেশার লোকই মাদকে জড়িত। আমাদের লোকও আছে। পুলিশ ধরা পড়লে শাস্তি মুখোমুখি হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়ে ২০০ বেডের মাদক নিরাময় হাসপাতাল হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় চিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী, আমলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্তাসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।