বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন

সিত্রাংয়ে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে /

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারা দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।তিনি বলেন, সিত্রাং প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোন কোনোটাতে রূপ নেয়নি। বাতাসের গতিবেগ ৮০ কিলোমিটারের উপরে যায়নি। ঘোষিত সময়ের অনেক আগেই অনেক দ্রুত গতিতে আমাদের উপকূল অতিক্রম করেছে সিত্রাং। সতর্কতার শুরু থেকেই আমাদের মাঠ প্রশাসন কাজ করেছে। ফলে ৬ হাজার ৯২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ লোককে আমরা নিরাপদে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম।প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সব ধরণের খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়টি যেহেতু রাত ১০টার পরেই বাংলাদেশ অতিক্রম করে সেহেতু আশ্রিত লোকজন মধ্যরাত থেকে আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করে বাড়িতে যাওয়া শুরু করে।তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় জেলাগুলো ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়টি কুমিল্লা, বাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জে আঘাত হেনেছে। তবে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব নেই। সব জায়গায় সূর্য উঠেছে। উজ্জ্বল দিন বিরাজ করছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে চট্টগ্রামসহ অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ কিছু কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ছিল। যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ছিল কিছু কিছু জেলায়। তবে সেগুলো এখন আবার মেরামত করে, দ্রুতই সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে কুমিল্লায় তিনজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, ভোলায় চারজন, গোপালগঞ্জে দুজন ও নড়াইল, ঢাকা, শরীয়তপুর, বরগুনায় একজন নিহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD