কিশোরগঞ্জের নিকলী সদর ইউনিয়ন কুর্শা হাওর সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটায়। এ কারণে ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালীর তিনটি ইটভাটা প্রায় এক যূগ ধরে অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি দিয়ে ইট প্রস্তুত করা হয়। ইট তৈরির কাঁচামাল হিসেবে এঁটেল ও দোআঁশ মাটি ব্যবহার করা হয়। ওই মাটি স্থানীয় কৃষিজমি থেকে নেওয়া হচ্ছে। যার কারণে যে জমিতে ধান একর প্রতি উৎপন্ন হতো ৮০-৯০ মণ ধান সে জমিতে বর্তমানে একর প্রতি ৫০-৬০ মণ ধান হবে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা।কৃষক আবদুল বাতেন বলেন, ‘জমিগুলোতে ইরি ও বোরো ধান করা হয়। প্রতিবছর ৮০-৯০ মণ ধান হলেও এখন ৫০-৬০ মণ হবে। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ইটভাটার মালিক অনেক প্রভাবশালী তাই প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না। ওনারা ইচ্ছে মত যখন যার জমি থেকে ইচ্ছে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যায়।’তিনি আরও বলেন, ‘কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেয়া হয়। ‘এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা পারভীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরা অবৈধ ভাবে ভেকু দিয়ে জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।