জামালপুরে ডাকাতির ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংবাদ কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ ও ছবি তুলতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রোববার ( ২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে বকশীগঞ্জে একটি ডাকাতির ঘটনায় থানায় ছবি এবং বক্তব্য নিতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ওসি অশালীন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন তিনি। হঠাৎ তার এমন অশালীন আচরণ হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিত সাংবাদিকরা।এ সময় পেশাদার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ লিখতে হলে ওসির অনুমতি নিতে হবে। আমি আপনাদের সাথে কথা বলতে রাজি না। আপনারা থানা থেকে বের হয়ে যান। আপনাদের আমি কোনো বক্তব্য দিবো না। যা পারেন করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ওসি তরিকুল ইসলাম।থানায় সে সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ভেতর উপস্থিত ছিলেন বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ইত্তেফাকের সাংবাদিক এম শাহীন আল আমীন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কালেরকন্ঠের সাংবাদিক আবদুল লতিফ লায়ন,যুগান্তরের সাংবাদিক সরওয়ার জামান রতন,তৃতীয় মাত্রার সাংবাদিক সরকার আবদুর রাজ্জাক,সমকালের সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান,ভোরের দর্পনের সাংবাদিক মতিন রহমান,দেশের কন্ঠের সাংবাদিক এম এ ছালাম মাহমুদ ও আজকের বসন্ধুরার সাংবাদিক মোহাম্মদ আসাদ উপস্থিত ছিলেন।সকলে এক বাক্যে এ ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভা করেছে বকশীগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। সভায় ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক এম শাহীন আল আমীন,আবদুল লতিফ লায়ন,সরকার আবদুর রাজ্জাক, সরওয়ার জামান রতন,আশরাফুল হায়দার,মাসুদ উল হাসান,এইচ এম মূসা আলী,গোলাম রব্বানী নাদিম,মতিন রহমান,এম এ ছালাম মাহমুদ,একে এম নুর আলম নয়ন, এমদাদুল হক লালন,আল মুজাহিদ বাবু,রাশেদুজ্জামান রনি,মোহাম্মদ আসাদ ও আলমাছ আলী প্রমূখ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা শুধু সাংবাদিক কেনো সাধারণ মানুষের সাথেও অসদাচরণ করতে পারেন না। বিষয়টি আমি দেখবো।উল্লেখ্য, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বাসায় শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিটের দিকে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল বাসার সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২০ লাখ টাকা, ১২০ ভরি স্বর্নালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।