সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন আহমেদের বোন জামাই রুবেল আহমেদের নেতৃত্বে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ ( ২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার আলহাজ্ব আবু তালেব মোল্লা স্কুল ভোট কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, প্রায় ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী আশুলিয়া এক্সপ্রেসের বার্তা সম্পাদক ও ঝুম মংলায় সাভার প্রতিনিধি হাসান ভূইয়াকে রাস্তা থেকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাংবাদিক হাসান ভূইয়া বলেন, আমি ইয়ারপুরের উপনির্বাচনের তথ্য সংগ্রহের জন্য জামগড়া এলাকার আলহাজ্ব আবু তালেব মোল্লা স্কুল ভোট কেন্দ্রের সামনে থাকাকালীন সময়ে আনারস মার্কার প্রার্থী সুমন আহমেদ ভূঁইয়ার বোন জামাই রুবেল আহমেদসহ ৪০/৫০ আমার সামনে আসে। এসে রুবেল আহমেদ আমাকে জিজ্ঞেস করে, তোর এখানে কি কাজ? তুই এখানে কি করিস? তখন আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা ৪০/ ৫০ মিলে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে মারতে টেনে হিচড়ে পাশেই থাকা একটি বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। পরে ওই বাড়ির ভিতরে আটক রেখে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে আমাকে অপহরণ করার উদ্দেশ্যে ঐ বাড়ি থেকে অন্যত্র নেওয়ার জন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস. আই) মাসুদ আল মামুন আমাকে দেখে এগিয়ে আসে। তারপর এস আই মাসুদ তাদেরকে বলেন সাংবাদিক হাসান আমার পরিচিত। আপনারা ওনাকে ছেড়ে দেন। এসআই মাসুদের কথায় তারা প্রথমে ছেড়ে দিতে রাজি না হলেও পরক্ষনেই ছেড়ে দেয়। তারপর তিনি আমাকে নিরাপদ স্থানে পৌছে দেয়।এ ব্যপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মাসুদ আল মামুন বলেন, আমি আলহাজ্ব আবু তালেব মোল্লা স্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ ডিউটি করতেছিলাম। এমন সময় দেখতে পেলাম সাংবাদিক হাসান ভূইয়াকে কয়েকজন লোক টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরে আমি তাদের কাছ থেকে হাসান ভূইয়াকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌছে দেই।এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত রুবেল আহমেদের সাথে মুঠোফোনে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।এ বিষয়ে সবার উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।