সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অনুজীব দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত র্যালীটি প্রশাসনিক ভবন হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ক্ষুদ্র পরিসরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ আলম বলেন, ‘একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট খাদ্য, বস্ত্র, রিসার্চ সবক্ষেত্রেই মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে আমাদের ভূমিকা আছে। একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট যখন ডায়াগনস্টিক লেভেলে কাজ করে, সে যেই কাজই করুক তা মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে স্বীকৃত কিন্তু ল্যাব রিপোর্ট এমবিবিএস ডাক্তার সাইন করার মাধ্যমে মাইক্রোবায়োলজিস্ট এর অধিকার খর্ব হয়ে গেল। আমাদের এই অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার হতে হবে। সরকারি পযার্য়ে যে সব মাইক্রোবায়োলজিস্ট আছে তাদের একত্রিত ভাবে শক্তিশালী হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো শওকত মাহমুদ বলেন, ‘প্রতি বছর ১৭ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব অনুজীব দিবস বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। মানবদেহ থেকে শুরু করে প্রাণিদেহে আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন অনুজীব। এগুলো যে শুধু আমাদের ক্ষতি করে তা নয়। অনেক অনুজীব আছে যেগুলো আমাদের দেহের ও পরিবেশের জন্য উপকারী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দিবসটি মূলত সাধারণ মানুষকে অনুজীব সম্পর্কে সচেতন করার জন্য পালিত হয়। এর পাশাপাশি অনুজীবের বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে অবগত করা। শিল্পক্ষেত্র, ওষুধক্ষেত্র, কোমল পানীয় তৈরি, এমনকি গ্রামাঞ্চলের বায়োফুয়েল উৎপাদনে অনুজীব ব্যবহৃত হয়।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সকল শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা।