গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ( গবিসাস) এর সাবেক সভাপতি এবং দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রোকনুজ্জামান মনি বলেন, ‘জুলাইয়ের গণ অভ্যুত্থানে অস্ত্রের মুখে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন চাপ উপেক্ষা করে নীতিগত কারণে সাংবাদিকেরা মজলুমের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। সেসময় অনেক বিভাজনের সুযোগ ছিলো।’
আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গবিসাস কর্তৃক আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ও মাঠের সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) একাডেমিক ভবনের আইকিউএসি সভা কক্ষে গবিসাসের সহ সভাপতি ইউনুস রিয়াজের সভাপতিত্বে সভাটি সম্পন্ন হয়।
মো: রোকনুজ্জামান মনি বলেন, আন্দোলনে সময়টা একেক সময় একেক ভাবে কেটেছে। বিভাজনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এই যে বিভাজনে সুযোগ না দেওয়া সেটা ধরে রেখেই জাতীয় ঐক্যে সুসংগঠিত হতে হবে।
অন্য একজন আলোচক চ্যানেল 24 এর বিশেষ প্রতিবেদক মাকসুদ-উন-নবী বলেন, এক সময় ফ্যাসিবাদের দালালী করায় সাংবাদিকদের কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। গণমানুষের কাজ করার কথা থাকলেও বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য দীর্ঘ সময় কাজ করে গেছে। ফলত তারা এখনো অনেকেই নীতিগত জায়গায় ফিরে আসতে পারনি। সবাইকে জাতীয় ঐক্যে মিলতে হবে নতুবা আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে।
প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন সাংবাদিকদের সমাজের দর্পন উল্লেখ করে বলেন, উত্তাল সময়েও তারা নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে সংবাদ সংগ্রহ প্রচারের কাজ করে গেছে। গবি দেশের প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে, তেমনি এখানকার সাংবাদিকরাও দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করে গেছেন। সবার প্রতিই আমরা কৃতজ্ঞ।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গবি সংগঠক নাসিম এবং তৌহিদ আহমদ সালেহীন। একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম সাব্বির, প্রথম আলোর নিজেস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, আজকের পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি এবং গবিসাসের সাবেক সভাপতি রিফাত মেহেদী, আর টিভির আশুলিয়া প্রতিনিধি তৌহিদ মোরশেদ নোমান, এখন টিভি এবং দৈনিক কালবেলার সাভার প্রতিনিধি মো. হুমায়ুন কবির। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।