আফজাল হোসেন(নিজস্ব প্রতিবেদক)- ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও শ্রীপুর উপজেলার বেশীরভাগ অংশ ধূলোবালিতে একাকার।
বাতাসে ধূলোর আস্তরণ ভেদ করে পথ চলা দায়। এ অবস্থার মধ্যেই মহাসড়ক ও অভ্যন্তরিন সড়কগুলোতে পাল্লা দিয়ে চলছে ছোট-বড় যানবাহন। ধূলোর কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যানবাহন চালক এবং যাত্রীরা।
ধূলো এড়ানোর জন্য সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি ছিটানো হচ্ছে। যেদিক দিয়ে পানি ছিটানো শেষ হচ্ছে কিছুক্ষণ পর সেদিক দিয়ে আবার ধূলো উড়ছে। এসবের মধ্যে একপাশে চলছে যানবাহন, অন্য পাশে উন্নয়ন কাজ।।
বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জৈনা বাজার থেকে শৈলাট,শ্রীপুর-মাস্টারবারি রাস্তা কাজের ধীরগতিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সড়কের বিভিন্ন স্থানে যেন চলছে ধূলোর রাজত্ব। পাশের ড্রেন, মহাসড়ক সংলগ্ন ঘরবাড়ি, গাছপালা সবকিছুতে ধূলোর আবরন।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। অনেকে অতিষ্ঠ হয়ে বলেছেন এ অবস্থা দেখার কী কেউ নেই?
ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী আলম-এশিয়া পরিবহনের চালক মঞ্জুর হোসেন বলেন, গাজীপুর চৌরাস্তায় ধূলোবালির পরিমানটা একটু বেশী এতে করে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
শ্রীপুর থেকে ভাড়ায়চালিত প্রাইভেটকার চালক সাদিকুল ইসলাম জানান, ধূলোবালির কারণে পথ দেখা যায় না। গাড়ি ছেয়ে থাকে ধূলোবালিতে। অনেক সময় ধূলোবালির ভেতর দিয়ে অনুমান করে গাড়ি চালাতে হয়।
মাস্টারবারি এলাকার বাসিন্দা সাবেক ঠিকাদার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন উন্নয়নকাজ চলাকালে আশপাশের পরিবেশ ঠিক রাখতে ঠিকাদারদের নির্দেশনা দেওয়া থাকে বলে জানান তিনি। তবে তিনি স্বীকার করেন, বেশিরভাগ সময়ই ঠিকাদার সেভাবে কাজ করেন না।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃহুজ্জাতুল ইসলাম পলাশ জানান, উপজেলার মাওনা, শ্রীপুর, মাস্টারবারি, জৈনা সহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ধুলাবালির পরিমান সবচেয়ে বেশি।পিএম ২.৫ ধুলাবালির মাধ্যমে সহজেই শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসতন্ত্রের নানা রোগ ও হৃদরোগের পরিমাণ বাড়ায়। পিএম ২.৫-এর কারণে অ্যাজমা ও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে।