রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

শ্রীপুরে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শিশু ইব্রাহীম।

প্রতিনিধির নাম
  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৭২১ বার পড়া হয়েছে /

আফজাল হোসেন(নিজস্ব প্রতিবেদক)- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার  ফরিদপুর গ্রামে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ইব্রাহীম নামর এক শিশু।

গত কয়কদিন ধরে শিশুটির জমি দখলে ব্যার্থ হয়ে ভূমিদস্যুরা শ্রীপুর থানা পুলিশর মাধ্যমে তার পরিবারকে হয়রানী করে যাচ্ছেন। এ বিষয় ভুক্তভাগী শিশুর পরিবার শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযাগ দিলেও পুলিশ অভিযাগপত্র গ্রহন করেনি।

তারপর গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবর শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন ও ভূমিদস্যুদের নামে অভিযাগ দেন শিশুর পরিবার। এরই প্রেক্ষিতে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্তকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন গাজীপুরর পুলিশ সুপার। ভুক্তভাগী শিশু ইব্রাহীম (১০)শামসুল আলমের ছেলে। সে  শিশু শিক্ষা মডেল বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

শিশুর দাদী ফিরুজা বেগমের ভাষ্য,স্থানীয় মাল্লাপাড়া এলাকায় তার নাবালক নাতীর সাড়ে তিন শতাংশ জমি রয়েছে। সে জমির উপর ৮টি ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে তার নাতি ইব্রাহীম ও তার পুত্রবধু জীবিকা নির্বাহ করতো। শিশুর বাবা মাদকাসক্ত থাকায় তাকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় গত ১ বছর আগে।

গত ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন, ভূমিদস্যু আবুবকর সিদ্দিক, নুরুল ইসলাম, মোফাজ্জল গং দের নিয়ে বাড়ীতে প্রবেশ করে বাড়ীর গেইটের তালা ভেঙ্গে দখলের চেষ্টা করেন। এত ব্যার্থ হয়ে শিশুর মাকে ও শিশুকে মারধর করে বাড়ীতে লুটপাট করেন। এ ঘটনায় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। তারপরের রাতই ফের ভূমিদস্যূ নুরুল ইসলামদের পক্ষে অভিযাগ গ্রহন করে পুুলিশ নির্যাতিতা গহবধু নাসিমা আক্তারকে গ্রপ্তার করেন। দুদিন পর গৃহবধু জামিনে এসে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযাগ করলেও পুলিশ সে অভিযাগ গ্রহন করনি। এখন প্রতিদিন রাতে বাড়িতে পুলিশ আসায় পালিয়ে থাকতে হচ্ছে শিশু ও তার মাকে। শিশুটির দাদী আরো জানান,প্রথমদিন পুলিশ এসেই শিশু ও তার মাকে মারধর করেন। এতে শিশুটি ভয় পেয়ে যায়, এখন সে বাড়ীতেই আসতে চায়না। এছাড়াও তার নিরাপত্তার কথা বিবচনা করে তাকে বিভিন্ন স্বজনদের বাসায় নিয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে।

অভিযুক্ত উপপরিদর্শক আলাউদ্দিনের দাবী, স্থানীয় কয়কজন শিশুর বাবার নিকট হতে জমিটি ক্রয় করেছেন তবে তারা দখল পাচ্ছিল না। তারা পুলিশের সহায়তা চাওয়ায় থানা থেকে তাদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও কাগজপত্র শিশুটির কোন মালিকানা নেই। তবে শিশুর জমি কিভাবে তার বাবা ক্রয় করেছেন এর পক্ষে জবাব দেয়নি এই উপ-পরিদর্শক।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) লিয়াকত আলী জানান,উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে উভয়ের কাগজপত্র দেখা দরকার। যেহেতু একপক্ষ মামলা করেছন তাই অপরপক্ষের অভিযাগ নেয়া হয়নি। এছাড়াও বিষয়টি জমি সংক্রান্ত।

এদিকে পুলিশ সুপারের তদন্ত আদেশ এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, আদেশ প্রাপ্তির পর তিনি বিষয়টি তদন্ত করবেন।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD