দূর্যোগের মেঘ ভেঙে এসো ছুটি সময়ের তারুণ্যে জীবনের জয় গানে সংগ্রামের শ্লোগানে, শ্লোগানে চেতনার ভূমিতে বপন করি জয় বাংলা
ফরিদপুর দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের যোদ্ধা হয়ে যারা মুজিব আদর্শকে ধারণ করে, আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় নিজেকে উজাড় করেছিলেন লড়াই-সংগ্রামে যারা তারা আজ কে, কোথায়? কেমন আছে তারা? কেমন আছে তাদের পরিবার? অনেকের খবর কেউ রাখেনা। রাজনৈতিক অপশক্তির থাবায় যখন ছিন্ন ভিন্ন সেইসব নেতাকর্মীর জীবন তখন শেষ রক্ষায় ¯স্নেহের আঁচলে জননী এসেছেন রক্ষার ভালোবাসায়। ফরিদপুরের সেই অশুভ শক্তির পতন হতে চলেছে। অপশক্তির ভয়ঙ্কর লুটেরা পতনের পর ভাগ্যহত নেতাকর্মীদের প্রাণে আশার সঞ্চার হতে শুরু করেছে। আবার কেউ কেউ আত্ম অভিমানে ঘরে বসে। আবার কেউ কেউ এখনও ভয় ভাঙতে পারেনি। যদি আবার ছলে, বলে, কৌশলে মাঠে ফিরতে পারে তাহলেতো আবার সেই অবস্থা। সন্ত্রাসী হামলায় পঙ্গু হতে হবে। অপমান, লাঞ্ছনায় ব্যথা সইতে হবে। নানা অধ্যায় সংশয়ে যায়। মা কি করবেন? ফরিদপুরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ রক্ষায়। সেদিনের দুর্দিনের যোদ্ধার জন্য। জননীর ¯স্নেহ, মমতা, কতটা ঢুলুঢুলু হবে। সেই প্রত্যাশায় ফরিদপুরবাসী। আমি সকলকে অনুরোধ করবো, অভিমান সরিয়ে সময় এসেছে আসুন জয় বাংলার শ্লোগানে মুজিব আদর্শের মশাল হাতে জননী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মঙ্গল প্রদীপ ছটায় আমরা আবারও উঠে দাঁড়াই।
বাহালুল মজনুন চুন্নু ফরিদপুরের যে কয়জন খ্যাতিমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছে তাদের একজন। ওবায়দুল কাদের ও বাহালুল মজনুন চুন্নু’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সাড়া দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুজিব আদর্শকে শক্তিশালী করেছে। তখনকার লড়াই, সংগ্রাম, আত্মত্যাগে এক নিবেদিত প্রাণ। আজ অবধি চেতনার ভূমি থেকে তিনি সরে যাননি। মান-অভিমান যাই থাক আদর্শের স্থানে তিনি দুঃসাহসিক। মনিরুল হাসান মিঠু একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। মরহুম হাসিবুল হাসান লাবলু’র ছোট ভাই। ১৯৭৯ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ রুকসুর ছাত্রলীগ মনোনীত জি.এস। ১৯৮২ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ রুকসুর ছাত্রলীগ মনোনীত ভি.পি। ১৯৮৫ সালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। নানা লড়াই, সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। অদ্যাবধি ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ত রয়েছে। লিয়াকত হোসেন ১৯৮৩ সালের দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তুখোর বক্তা ও সংগঠক। বর্তমানে কোন পদে নেই, অভিমান আছে। কর্মের মূল্যায়ন না পাওয়া আর হাইব্রীডদের দখল রমরমায় নিশ্চুপ থাকতে হয়েে তাকে। লিয়াকত শিকদার বোয়ালমারী সরকারি কলেজ থেকে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এনামুল হক শামীম পরিষদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য পদ লাভ করেন। পরবর্তীতে বাহাদুর বেপারী ও অজয়কর খোকন পরিষদে তুখোর ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৮-২০০২ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত হয়ে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অদ্যাবধি আর কোন পদে আসতে পারেননি। নূরুল আমিন বাপ্পী ১৯৯৯-২০০১ সালে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০৪ সালে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। পরবর্তীতে মনির-সত্যজিৎ কমিটিতে জেলা ছাত্রলীগের সদস্যপদ পান। ২০১১-২০১৫ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক। তুখোর সংগঠক হিসেবে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিঃ খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন। শরিফুল হাসান প্লাবন তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট শ্রমিক জননেতা মরহুম হাসিবুল হাসান লাবলু দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ফরিদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মাতা মিসেস ঝর্না হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ফরিদপুর জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। প্লাবন ২০০৩ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুল ছাত্রলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ইয়াছিন কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তুখোর বক্তা, জনপ্রিয় সংগঠক, পিতার মতো সহজেই সাধারণ মানুষের মধ্যে স্থান করে নিতে সক্ষম।